চ্যানেল আই ভবনের চেতনা চত্বর সেজেছে লাল-সবুজের রঙে। বর্ণিল মঞ্চ, তোরণ আর ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তিতে ১৬ ডিসেম্বর রবিবার চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘আনোয়ার সিমেন্ট-চ্যানেল আই বিজয় মেলা-২০১৮।’
১১টা ৫ মিনিটে জাঁকজমকপূর্ণ এ মেলা’র উদ্বোধন করেন যুদ্ধাহত ও খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধারা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য, চ্যানেল আই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ সময় লাল-সবুজ বেলুন ওড়ানো হয়।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘এবছরের বিজয় দিবস সময়ের কারণেই একটু ভিন্ন এবং অর্থবহ। এবছর জাতীয় নির্বাচনে যে সরকার আসবে, সেই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে দেশের অব্যাহত উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সেই সরকারের অধীনেই আমরা পালন করব বিজয়ের পঞ্চাশ বছর রজতজয়ন্তী।’
ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘বিজয়ের এই ৪৮ বছর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে পার হয়ে এসেছি। এই দেশ অনেক আমাদের দিয়েছে। আর অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। দেশকে ভালোবেসে, প্রকৃতিকে ভালোবেসে আরও অনেক এগিয়ে যেতে হবে। যে ইলেকশন আসছে তার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর সরকার এবং মন্ত্রী পরিষদ পাব এই আশা নিয়ে সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, ‘আমরা সেই জাতি যারা যুদ্ধে জিতে আত্মসমর্পন করিয়ে আমাদের মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম। আজ সেই দিন। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই মাটি পেয়েছি তাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।’
মেলা প্রাঙ্গণে আছে নানা সামগ্রীতে সজ্জিত স্টল। দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি আঁকছেন। শিশুদের জন্যও আছে ছবি আঁকার আয়োজন।
মেলায় সংগীত পরিবেশন করছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধারা। এছাড়াও খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজদের গান থাকছে। পরিবেশিত হবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়েদের নাচ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে চ্যানেল আই। বিজয় মেলা পরিচালনা করছেন আমীরুল ইসলাম ও শহিদুল আলম সাচ্চু।
ছবি: জাকির সবুজ