ঔদ্ধত্যপূর্ণ আর অশালীন বক্তব্য এবং মুখভঙ্গির জন্য বরাবরই ব্যাপকভাবে সমালোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মুসলিম লীগ দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। এরপর জাতীয় পার্টি, নিজের গড়া দল এনডিপি হয়ে বিএনপিতে যোগদান।
মুক্তিযুদ্ধে নেতিবাচক ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করলেও বেশ দম্ভ করেই স্বীকার করেছেন তার বাবার (ফজলুল কাদের চৌধুরীর) ভূমিকার কথা।
তিনি বলেছিলেন, আমি গর্ব করে বলি আমি ফকার ছেলে, তিনি (ফকা) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না…
যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও নানা সময়ে করেছেন অসংখ্য দম্ভোক্তি। ২০১০-এ গ্রেফতার হওয়ার ক’দিন আগেও ঠাট্টা-তামাশাও করেছেন এ নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, আমি তো আর পালিয়ে যাচ্ছি না, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা মানুষের পালানোর জায়গা কই…
যে কোনো বিষয়ের অশ্লীল উপস্থাপনেও তার জুড়ি মেলা ভার। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, পঞ্চম সংশোধনী… লাল মিয়া …
গণমাধ্যমকেও হেয় করে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকা… হাঁসের গায়ে পানি ছিটানোর মতন…
বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলে তা উপভোগও করেছেন সাকা চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, …রুচির বিষয়…কারো আছে কারো নেই…এটা গড়া যায় না…।