চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিএনপি আজ সর্বস্বান্ত: কানাডাপ্রবাসী সাবেক ছাত্রদল সভাপতি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু বলেছেন, শুধুমাত্র স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট করার কারণে বিএনপি আজ বিদেশেও সর্বস্বান্ত।

কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করার পর লাল্টু ফেসবুক পোস্টে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কয়েক বছর ধরে সাহাবুদ্দিন লাল্টু নিজেও কানাডাপ্রবাসী।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন: আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা থাকার পরও একটি দল যে যারপর নাই দুর্ভোগের সীমাহীন শিকারে পরিণত হতে পারে, তার প্রমাণ বিএনপি নামের একটি দল।

‘দীর্ঘদিন এ দলের সাথে থেকেছি,’ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন: সন্ত্রাস কী জিনিস, কখনোই চোখে পড়েনি। সমাজের নিরিবিলি ভদ্র-শান্ত মানুষগুলো এ দলের সমর্থক। মিথ্যা তো নয়ই, এমনকি পক্ষে যাবে এমন সব সত্যি কথা গুছিয়ে বলার মতো নেতার সংকট এ দলে সব সময়ই ছিলো।

তিনি বলেন: কোন রকমের সাংগঠনিক যোগ্যতা ছাড়াই এ দলের বড় বড় পদগুলো দখল করে রেখে জনগণের অতিপ্রিয় দলটিকে দেউলিয়াত্বের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে এ দলের কতিপয় নেতা। শিক্ষিত, মার্জিত, মেধাবী ও সাংগঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন নেতা যে দলটিতে একেবারেই ছিল না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু যোগ্য এ লোকদের পর্যায়ক্রমে অপমান অপদস্ত করে হয় দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, নয়তো অযোগ্যদের নীচে পদায়নের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে।

‘দলটিতে কার্যতঃ নেতাকর্মীদের জন্য শীর্ষ নেতানেত্রীর তোষামদি করা ছাড়া আর তেমন কিছু করার নেই। তৃণমূল নেতাদের মতামত নিয়ে একদিনের জন্যও দলটি পরিচালিত হয়েছে, আমার জানা নেই।’

সাবেক ছাত্রদল সভাপতি লিখেছেন: স্বাধীনতাবিরোধী একটি দলের সাথে জোট বাঁধার কারণে দলটি আজ শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সর্বস্বান্ত হবার পথে। সন্ত্রাসী দল না হয়েও শুধুমাত্র অপপ্রচারের কাছে পরাস্ত হয়ে কানাডার মতো একটি দেশের ফেডারেল আদালতের চোখে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিগণিত হওয়া কিছুতেই চাট্টিখানি কথা নয়।

তার মতে, কোন অপপ্রচারেই এমন বড় একটি অপবাদ বিএনপির মতো দলটিকে নিতে হতো না, যদি তারা স্বাধীনতাবিরোধী ওই দলটির সাথে কোন প্রকারের রাজনৈতিক জোট না বাঁধতো।

তিনি লিখেছেন: দলটির সাধারণ নেতাকর্মীদের দলের শীর্ষ নেতানেত্রীর সীমাহীন এসব ব্যর্থতা আর দলের জন্য মরণঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে দলটিকে এভাবে একটি দুর্দশায় ফেলে দেয়ার জন্য দায়ী নেতানেত্রীকে জবাবদিহি করার সময় এসে গেছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।