চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিএনপিবাংলাদেশডটকম নামে ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে: আলাল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, অনেকগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের বিষয়ে বলেন: একবার বন্ধের আদেশ আরেকবার খোলার আদেশ, আবার বন্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। এসব পোর্টালের মধ্যে বিএনপির বিএনপিবাংলাদেশডটকম (bnpbangladesh.com) নামে ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নয়, মনে হচ্ছে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলালের সঙ্গে ইসিতে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এদিন চিঠি দিতে এলেও প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষার পর চিঠি না নেয়ায় ফিরে যান বিএনপির নেতারা।

ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বিএনপি নেতা আলাল বলেন, সরকারদলীয় এমপি, মন্ত্রী ও প্রার্থীদের পুলিশ ঠিকই নিরাপত্তা দিচ্ছেন, প্রটোকল দিচ্ছেন আর আমাদের প্রার্থীদের ধরছেন, পেটাচ্ছেন ও গ্রেপ্তার করছেন।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, মনে হচ্ছে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে যারা আছেন তারা। আক্রমণের পর আক্রমণ, যা খুশি তাই করা হচ্ছে।

আলাল বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। সাবেক মন্ত্রী ও সরকারের সাবেক উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাসহ এখানে এসেছি।

‘‘২৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখে ডেস্ক থেকে আমাদের নেয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হলো। আমরা এখানে প্রতিকার চাইতে এসেছিলাম। আমাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। এর মধ্য দিয়ে আজ এটা স্পষ্ট হলো যে, আমাদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। ’’

তিনি বলেন, প্রচারণা চলাকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজীপুরের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে একটি নির্বাচনী প্রচারণা সভার মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে আ স ম রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না যাচ্ছিলেন।

প্রচারণায় হামলা দেশের কম বেশি সবখানেই হচ্ছে উল্লেখ করে আলাল বলেন, ঢাকা-১, নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-১১, মাগুরা-১, কুষ্টিয়া-৩, মাগুরা-১, মাগুরা-২, টাঙ্গাইল-৭, ফরিদপুর-২ ঢাকা-২, সিরাজগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-২, পটুয়াখালী-১, মৌলভীবাজার -৩, বি.বাড়িয়া-২ ও ৩, নেত্রকোনা-৩, মানিকগঞ্জ-১ ও ৩, চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২ এবং রাজশাহী-৪ ও ৬ আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও সভা পণ্ড করে দিয়েছে।

আলাল বলেন, আমাদের দাবি ছিল ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা। নির্বাচন কমিশন প্রথমে বলল ১৫ ডিসেম্বর, আবার বলা হলো ২৪ তারিখ। তা স্থির নয়। এখন বলা হচ্ছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। আমরা বার বার বলেছি ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন। মাঠে থাকার ও ভোট করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা সময় যতো গড়াচ্ছে কঠিন হয়ে পড়ছে। এ জন্য সেনা মোতায়েন দরকার।