বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে-প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যকে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ কোন প্রকার অনুগ্রহ আশা করে না। তাছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই বক্তব্য দেননি। তিনি ভেতরে এ কথা বলে থাকতে পারেন। তবে আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত না। এমনও হতে পারে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল হিসেবেও তিনি এ কথা বলে থাকতে পারেন।
তিনি বলেন: আমাদের আগে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। কনফর্ম না হয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না। তিনি যদি বলেও থাকেন এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের কথা বলার সুযোগ রয়েছে। ১৮ তারিখে আমাদের দল সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে। সেখানেই আমরা কথা বলবো।
তবে, আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি সিইসির এ বক্তব্যের পর বিএনপি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুলের মলিন মুখে হাসি ফুটেছে। আমাদের দল প্রত্যাশা করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তার মুখে যেনো এ হাসি থাকে।
সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট এ কৃষি মন্ত্রনালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে বিএনপি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতি দল। ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি ভালো ভালো কাজ করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
সিইসি আরও বলেছিলেন, বিএনপির সংলাপের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে। দলটি অনেক বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। তাদের দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা গঠন এবং পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা চালু করে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বিএনপি। আজ এমন একটি অভিজ্ঞ দলের প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্ধারিত সংলাপে অংশ নিয়েছেন।