বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী তথা বিএনপি সমর্থিত প্যানেল সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয়কে দেশের বিচারঙ্গনে সরকারি নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ। দেশের বিচার বিভাগের এই চরম সংকটে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা সঠিক রায় দিয়ে বিচারালয়ে সরকারি নোংরা খেলার দ্ব্যর্থহীন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করার পর এখন তার জামিন বিলম্ব করতে ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে পর্যন্ত বাধা প্রদান করা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে জেলে বন্দী করার পর তাকে আরও ৪টি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অনেকবার চেষ্টা করেও আইনজীবীরা ওকালতনামায় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নিতে পারেন নি কারাকর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায়।
‘গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি মামলার ওকালতনামায় বেগম খালেদা জিয়ার সই নিতে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে আইনজীবীরা ফিরে এসেছেন। এ জন্য এসব মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।’
রিজভী বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখে যে এক ভয়ানক ফন্দি আঁটছে সেটা এখন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে ভোটারদেরকে ধোঁকা দিতে, প্রধানমন্ত্রীর একদলীয় রাজত্ব কায়েম করতে, নিজেকে সম্রাজ্ঞী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, জাতীয় অর্থনীতি লুটপাট করে দলের সোনার টুকরো ছেলেদের পেট ভরাতে তিনি সেই ফন্দি করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতটাই বেপরোয়া যে, গণতন্ত্রকে গুম করার পরে নিজের ক্ষমতাকে এখন প্রলম্বিত করার জন্য দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করতেও দ্বিধা করছেন না। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিদিন আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্রমেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সর্বব্যাপী তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করা হবে এবং অচিরেই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।