মাগুরা জেলার শ্রীপুরে শাজাহান মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মির্জা মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলছিল। এর জেরে মিজানুরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মির্জা নাঈমুজ্জামান হৃদয় (১৮)। তিনি মাগুরার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে শ্রীপুর থানার নাকোল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর শ্রীপুর থানায় শাজাহান মিয়াসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা (নং-৭) করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মূল আসামি মিন্টু শিকদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হৃদয়ের বাবা মির্জা মিজানুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শাজাহানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়া নিয়ে তার শত্রুতা ও মনোমালিন্য চলছিল, এর জের ধরে গত সোমবার দুপুরে তার ছেলেকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হৃদয় প্রাইভেট পড়ে নাকোল বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যাচ্ছিল। পথে ওঁৎ পেতে থাকা শাজাহান মিয়ার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও রড় দিয়ে আমার ছেলের ওপর আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে পরে ডাক্তারদের পরামর্শে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে।’’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিত চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এলাকায় তুচ্ছ ঘটনা ও শত্রুতার জের ধরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এর জন্য আমি লজ্জিত। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মিজানের ছেলেকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত মন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এই ঘটনায় শাহজাহান মিয়ার বক্তব্য জানতে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এমনকি এসএমএসের জবাবও দেননি।