চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাবার পাশে চিরনিদ্রায় নাট্যকার মমতাজউদদীন

বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ।

সোমবার রাত সোয়া এগারোটার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বাবার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। চ্যানেল আই অনলাইন এমনটাই জানালেন মমতাজউদদীনের ভাগ্নে  শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স।

প্রিন্স জানান, মামার ইচ্ছানুযায়ি উনার গ্রামের বাড়ি ভোলাহাটে উনার বাবার  পাশে দাফন করা হয়। ঢাকা থেকে তাঁর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ভোলাহাটে পৌঁছায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে।

এরআগে সোমবার সকাল এগারোটার দিকে মমতাজউদদীনের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদিন সকাল দশটায় তাঁর মরদেহ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধার জন্য আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে হাজির হয়েছিলেন শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। যেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দুই ছেলে তিতাস ও সেলিম।

রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। গত কয়েকদিন ধরেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে।

১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজার অনুস্বারের পালা’ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মান লাভ করেছেন।

তার রচিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’। নিয়মিত চিত্রনাট্য রচনা ছাড়াও তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘নীলদর্পণ’ (সম্পাদনা), ‘সিরাজউদ্দৌলা’ (সম্পাদনা)।

ছবি: তানভীর আশিক