শরীফ কমিশনের বিপক্ষে শিক্ষা আন্দোলনের পর থেকেই বাংলার ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ একনায়ক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো বেশি বদ্ধপরিকর হতে থাকে।
৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের পরও আইয়ুব খান স্বৈরশাসনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় শোষণ চালিয়ে যেতে থাকে। ততোদিনে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রধান নেতা হয়ে উঠছেন শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তান সরকার তা প্রত্যাখ্যান করলে সম্মেলন বর্জন করেন শেখ মুজিব।
পরে ৬ দফা দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে থাকেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬ দফার কারণে আইয়ুবীয় দমন নীতির কবলে পড়ে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।
কিন্তু,ছয় দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্ত্বশাসনের আন্দোলনকে আরো জোরদার করেন তিনি, যার ধারাবাহিকতায় রচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট।
৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রধান রূপকার হয়ে ওঠেন শেখ মুজিব। কয়েক বছরের মধ্যে তার নেতৃত্বেই সূচিত হয় স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: