চুক্তি নিয়ে বোর্ড-ক্রিকেটারদের টানাপড়েনের মাঝেই করণীয় ঠিক করতে একসঙ্গে বসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসন এবং জাতীয়-ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিরা। রোববার সেই সভায় সিদ্ধান্ত এসেছে সামনের বাংলাদেশ ও ভারত সফরের ভাগ্য নিয়েও। স্মিথ-ওয়ার্নাররা টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসতেই চান। তবে শর্ত একটাই, সবকিছুর আগে তাদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চুক্তিটা নবায়ন করতে হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)।
সিএর বেঁধে দেয়া চুক্তির সময়সীমা শেষ হয়েছে ১ জুলাই। ক্রিকেটাররা তাতে সাড়া দেননি। স্বেচ্ছা বেকারত্ব বরণ করেছেন। রোববার অজিদের ‘এ’ দলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে আগামী শুক্রবারের মধ্যে যথার্থ সমাধানে না আসলে মাসের শেষের সাউথ আফ্রিকা সফর বয়কট করবে তারা। একইদিনে জাতীয় দলের প্রতিনিধিদের থেকেও হুমকিই পেল সিএ।
সিডনির আলোচনা সভায় ছিলেন ছুটিতে থাকা জাতীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে। তার মনোভাবও পরিষ্কার করেছেন।
সামনের করণীয় ঠিক করতে সভায় একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। ১৪ প্রস্তাবের সেই ৬ নম্বর ধারাটি অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ ও ভারত সফর প্রসঙ্গে। ক্রিকেটাররা এই প্রস্তাবটির শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারত সফর করা নিয়ে প্রবল ইতিবাচক সাড়া দেন। আবার এটিও জানান, যেহেতু তারা চুক্তিহীন, তাতে পেশাদার ক্রিকেটারদের কেউ সফর করতে বাধ্য করতে পারবে না।
ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। দাবি মেনে চুক্তি করো, নয়তো সফর ডুবে যাবে অনিশ্চয়তায়। নিদনপক্ষে প্রথম সারির ক্রিকেটারদের তো পাওয়াই যাবে না। অথচ দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগস্টে অজিদের বাংলাদেশে আসার কথা, তার কদিন পরেই ভারতে ওয়ানডে সিরিজ।
তবে ৮ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সাউথ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে সভায়। অবশ্য সকালেই দলটির অধিনায়ক উসমান খাজা জানিয়েছিলেন, তারা অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। সঙ্গে আসছে শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন যৌক্তিক সমাধানের।
উসমান খাজা বলেছেন, ‘সফর বয়কট করা সহজ কোন সিদ্ধান্ত নয়। আমরা সকলেই ক্রিকেট খেলতে চাই। অনেক দিন খেলা নেই। কিন্তু চুক্তি প্রসঙ্গে আমরা ঐক্যবদ্ধ। অনুশীলনে যোগ দিচ্ছি, প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখব। আশা করি, একটা সমাধান এসে যাবে। সেটা না হলে কঠোর সিদ্ধান্তই নিতে হবে।’
অ্যালিস্টার নিকলসন ও স্মিথদের সভায় সিএর মনোভাব এবং আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেও একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সঙ্গে ক্রিকেটারদের বঞ্চিত করতে বোর্ডের পদক্ষেপের পর খেলোয়াড়রা যেভাবে ঐক্যের জয়গান করেছেন, সেটিরও প্রশংসা করা হয়েছে।