শুরু এবং শেষের বোলিং হলো দেখার মতো। মাঝের বড় সময়টাতে নির্বিষ বোলিং আর দুর্বল ফিল্ডিংয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার সাবলীল ব্যাটিং। বিশেষ করে কুশল পেরেরার ১১১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি। তাতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ প্রত্যাশিতভাবেই ছাড়িয়েছে তিনশ। প্রেসাদাসায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩১৫ রান।
৪০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৪৫। তখন মনে হচ্ছিল সাড়ে তিনশ করে ফেলাও অসম্ভব নয়। স্লগওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিলে ৩১৪ রানে থামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তারা হারায় ৮ উইকেট। শেষ ১০ ওভারে তোলে ৬৯ রান।
শফিউল তিনটি ও মোস্তাফিজ নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।
শেষে ভাল বোলিং করলেও মোস্তাফিজ এ ম্যাচে ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ১০ ওভারে দেন ৭৫ রান। প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা শফিউল দেন ৯ ওভারে ৬২। বিশ্বকাপে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সৌম্য সরকারের ইকোনমি সবচেয়ে ভাল। ৫ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান।
নিজের শততম ওয়ানডে ম্যাচকে স্মরণীয় করতে পারেননি রুবেল। ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়েছেন। এছাড়া মিরাজ ৯ ওভারে ৫৬, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৭ ওভারে দেন ৪৫। কাঁধের চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর বল হাতে নেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১ ওভার। দেন ৪ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল ধীরগতির। রানের চাকা সচল হতে শুরু করে প্রথম উইকেট পড়ার পর। তিনে নামা কুশল প্রেসাদাসার ২২ গজে নামতেই ঝড়ের বেগে আসতে থাকে রান। এ বাঁহাতি মাত্র ৮২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে শ্রীলঙ্কাকে দেখান বড় সংগ্রহের পথ।
বোলারদের শাসন করে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৯৯ বলে ১১১ রান করে সৌম্যকে উইকেট দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। এ বাঁহাতির ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও একটি ছয়ের মার।
এছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৪৮, কুশল মেন্ডিস ৪৩, লঙ্কান অধিনায়ক ও ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে করেন ৩৬ রান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষবার ব্যাট হাতে নামা লাসিথ মালিঙ্গা ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ম্যাচ দিয়েই অবসরে যাচ্ছেন এই লঙ্কান পেসার।