ইংল্যান্ড থেকে: এনামুল হক জুনিয়র বিলেতে এসেছিলেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেল সংসদ সদস্যদের বিশ্বকাপ খেলার। ১০ বছর পর বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে ১৫ টেস্ট ও ১০ ওয়ানডে খেলা এ বাঁহাতি স্পিনার ইন্টার পার্লামেন্টারি বিশ্বকাপে খেলেছেন অতিথি খেলোয়াড় হিসেবে। নেমেই করেছেন বাজিমাত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন একাই।
ইংল্যান্ডকে ৩৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। যাদের গ্রুপপর্বে হারিয়েছিল নাইমুর রহমান দুর্জয়ের দল।
বেকেনহ্যামের কেন্ট কাউন্টি ক্লাব গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তোলে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা। জবাবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
র এইং করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। এনামুল হক জুনিয়র চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে ধস নামান। ২০০৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে ও ২০১৩ সালে সবশেষ টেস্ট খেলা জাতীয় দলের এ স্পিনার ৪ ওভারে দেন ২০ রান
অধিনায়ক নাইমুর রহমান ও বাপ্পি নেন দুটি করে উইকেট। তাতে সহজ হয়ে যায় ফাইনালের পথ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অতিথি খেলোয়াড় সিহানের ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ গড়ে বড় সংগ্রহ। যার মধ্যে অতিরিক্ত থেকেই আসে ৩০ রান।
পার্লামেন্টারি বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ডে এসেছেন বাংলাদেশের ১৮জন সংসদ সদস্য। শুরুতে নিজেরা খেললেও অন্য দলগুলো বাইরে থেকে খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছে কয়েকটা ম্যাচ। এনামুল ইংল্যান্ডে থাকায় সুযোগটা নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে কাজও হয়েছে বেশ। ফাইনালে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেই হয়!