চারটা ডিফেন্স। সবগুলো সামনের পায়ে। তাতে দুইজন ফিরলেন এলবিডব্লিউ হয়ে। বাকি দুজন ক্যাচ। ব্যাটের কানা নিয়ে বল ফিল্ডারের হাতে। অসহায় ফিরে আসা যাকে বলে, শেষ দিনের সকালে ঠিক সেটাই দেখলো বাংলাদেশ। এখন চলছে পরাজয়ের ক্ষণ গোনা।
দিনের প্রথম বল থেকেই বিপদের ইঙ্গিত। গুনারত্নের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত সৌম্য। ঠিক পরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ (৫৩)। এরপর মুমিনুল (৫) আসতে না আসতেই এলবিডব্লিউ। বল দেখে ডিফেন্স করেছিলেন। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে পেছনের পায়ে লাগে।
তামিম (১৯) পেরেরার বলে সামনের পায়ে ডিফেন্স করেছিলেন। বলে হালকা বাউন্স ছিল। সঙ্গে টার্ন। ব্যাট ‘চুমু’ দিয়ে তা চলে যায় প্রথম স্লিপে।
এরপর সাকিবের (৮) পালা। তাকে ফিরিয়েছেন হেরাথ। অফস্টাম্পে লফটেড ডেলিভারি ছিল। ঠিকমতো বুঝে ওঠার আগেই ব্যাট দিতে যান। ব্যাটে লেগে বল চলে যায় লেগ স্লিপে। করুনারত্নে ঝাঁপিয়ে ধরে ফেলেন।
রিয়াদকে (০) ফিরতে হয় হেরাথের একটি আর্ম বলে। সামনের পায়ে ঠেকাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল লাগে প্যাডে।
চতুর্থদিন কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬৭ রান। তামিম-সৌম্য অক্ষত থেকে দিন পার করেন। কিন্তু শেষ দিন সেই ‘তাসের ঘর’ই দেখতে হলো।