চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বর্ণবাদীদের ‘ভাগতে’ বললেন গেইল

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ফুসে উঠেছে আমেরিকা। প্রতিবাদ হচ্ছে বিশ্বজুড়েই। জার্মান বুন্দেসলিগায় জার্সি খুলে ফ্লয়েড হত্যার বিচার চেয়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দুই ফুটবলার আশরাফ হাকিমি ও জাডেন সাঞ্চো। ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রতিবাদে মুখর ক্যারিবীয় ব্যাটিংদানব ক্রিস গেইল।

ক্রীড়াবিশ্বে বর্ণবৈষম্য নিয়ে শেষ কয়েকবছর ধরেই বেশ ঝড় চলছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে ইতালিয়ান সিরি আ’র মতো বড় লিগগুলোতেও কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের দিকে তাক করে বর্ণবাদী মন্তব্য ছোঁড়া হয় প্রতিনিয়তই। কঠোর আইন করেও এসব অপরাধ ঠেকাতে পারছে না ফিফা-উয়েফার মতো সংস্থাগুলো।

শুধু ফুটবলেই নয়, ক্রিকেটেও বর্ণবৈষম্য আছে বলে বোমা ফাটিয়েছেন গেইল। সোমবার ইনস্টাগ্রামে আফ্রিকান-আমেরিকান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি লিখেছেন অনেক কথাই।

‘অন্যদের জীবনের মতো কালো মানুষদের জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। কালো মানুষদের জীবনও মূল্যবান। বর্ণবাদীরা ভাগো। কালো মানুষদের বোকা ভাবা বন্ধ করো। এমনকি অনেক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষই নিজের জাতিদের ক্ষতি করছে। আমি বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়াই আর আমাকে অনেক বৈষম্যমূলক কথা শুনতে হয়। কারণ আমি কালো। বিশ্বাস করুন, এমনটাই হচ্ছে।’

‘কেবল ফুটবলেই নয়, ক্রিকেটেও বর্ণবৈষম্য আছে। এমনকি কৃষ্ণাঙ্গ এক দলে থেকেও খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। আমি কালো এবং শক্তিশালী। কালো এবং গর্বিত।’

গত ২৫মে আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাঁটু দিয়ে মাটিয়ে ঠেসে ধরেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। প্রায় দশমিনিট ধরে ফ্লয়েডের মাথা মাটিতে চেপে রাখেন তিনি। এক পর্যায়ে ফ্লয়েড শ্বাস নিতে না পারার কথা জানালেও পাত্তা দেননি। ওই অবস্থাতেই মারা যান ফ্লয়েড। পরে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা।