চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বন্ধ হচ্ছে রাজধানীর সব মাল্টিপ্লেক্স

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বাংলাদেশেও। সবখানেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে জনাকীর্ণ স্থানগুলো। এ কারণে আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য সিনেমা হল। এবার বন্ধ ঘোষণা করলো দেশের অভিজাত দুই সিনে থিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা ব্লক বাস্টার।

সিনেপ্লেক্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ২০ মার্চ থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ), সীমান্ত সম্ভার (ধানমন্ডি), এসকেএস টাওয়ার (মহাখালী)-তে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সের তিনটি শাখাই ২০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত করোনার প্রভাবে বন্ধ থাকবে।

গেল সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্টার সিনেপ্লেক্স বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। প্রতিটি প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন এমন কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করছেন। ১২ স্ক্রিনে প্রতিটিতে প্রতি শোয়ের শুরু বা শেষে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে চেয়ার ও হলরুম পরিষ্কার করা হচ্ছিল।

মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের যেদিন প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্তের ঘোষণা আসে সেদিন থেকে দর্শক আসা একেবারেই কমে গেছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যথা নিয়মে আবার চালু হবে স্টার সিনেপ্লেক্স। আপাতত ২০ মার্চ- ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। সাময়িক বন্ধ রাখার বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তার দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এদিকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের যমুনা ব্লক বাস্টার থেকে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আজই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ২১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ব্লক বাস্টার কর্তৃপক্ষ করোনার প্রভাবে শো বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান এ পরিস্থিতে ভালো সিনেমা প্রদর্শিত হলেও ২০ শতাংশও দর্শক আসছে না। সচেতনাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে শনিবার ( ২১ মার্চ) থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ব্লক বাস্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে ১৮ মার্চ সারা দেশের সব সিনেমা হলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সরকার।

জনসমাগম সৃষ্টি হয় এমন সবকিছুর উপরই আছে বিধিনিষেধ। সিনেমা হলে যেহেতু বেশি মানুষের যাতায়াত, তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাই মিলে আমরা ১৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এই সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।