মধ্যবিত্তের জন্য ফ্ল্যাট কেনার সব পথই যেন বন্ধ হতে চলেছে। সিঙ্গেল ডিজিট ঋণ বন্ধ থাকার সঙ্গে যোগ হয়েছে রেজিস্ট্রেশনের বাড়তি খরচ। ফলে এক মাসেই রেজিস্ট্রি কমে গেছে ৪২ হাজার। মধ্যবিত্ত ফ্ল্যাট কেনার জন্য কেন সহজশর্তে ঋণ পাবে না তা জানতে চেয়েছেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এককালীন কিছু অর্থ আর বাসা ভাড়ার চেয়ে কিছুটা বেশি মাসিক কিস্তি দিয়ে রাজধানীতে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন মধ্যবিত্তরা। উচ্চসুদের ঋণের সঙ্গে চলতি অর্থবছর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগর এলাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি’র ওপর বাড়তি কর যোগ করায় প্লট-ফ্ল্যাট কেনার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে আগস্টে ঢাকায় ১৭ হাজার ৯শ’টি রেজিস্ট্রি হলেও সেপ্টেম্বরে হয়েছে ১৩ হাজার ৭শ’টি।
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভুইয়া বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বেড়ে গেছে ফলে খরচ বাড়ছে অনেক। এই জন্য এই মাসে তেমন কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে আসে নি।
এর চেয়ে বেশি সমস্যা, স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাওয়া। উচ্চসুদের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাউজ বিল্ডিং ঋণ দেয়ার হার খুবই সীমিত। দশ শতাংশের কমে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে সরকারি যে ফান্ড চালুু ছিল তা বন্ধ ২০১০ সাল থেকে।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, একজন মধ্যবিত্ত নাগরিক যে টাকায় বাসা ভাড়া থাকে সেই টাকাতেই তিনি একটা বাড়ি করতে পারছেন। এই জন্য ঋণের হারও কম রাখার কথা ছিলো। সিঙ্গেল ডিজিটের সুদে সরকারকে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে হোম লোনও থাকবে।
মধ্যবিত্তের আবাসন সংকট মেটাতে দশ শতাংশের কমে হাউজবিল্ডিং ঋণ আর সরকারি ফান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সহায়তা চান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
তিনি বলেন, এটা সরকারই দেবে। গরীব লোকেরা বা মধ্যবিত্তরা কখনো টাকা মারে না, টাকা মারে হলমার্ক বা ডেসটিনির লোকেরা।
মন্ত্রী আশংকা প্রকাশ করেন, মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে আবাসনের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হলে আবাসনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটও বাড়বে।