দুবছর হয়ে গেল, রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ দুবছরে সাবেক ক্লাবের অধিনায়ক সার্জিও রামোসের সঙ্গে সম্পর্কটা নাকি একদমই জুতসই ছিল না পর্তুগিজ মহাতারকার। সময়টাতে কেউ কারো ছায়াও মাড়াননি। আবার বোঝা যায়নি দুজনের সম্পর্কের অবস্থা বা ক্ষোভের কারণও।
বুধবার পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচের পর রোনালদো-রামোসের এক যুগল ছবি বলছে, এতদিন যা ভাবা হয়েছে তা আসলে অনেকটাই গুজব। একে-অন্যের প্রতি যদি অভিমান থেকেই থাকে, সেটা নিজেদের মনে চেপে রেখে দুজনে উড়িয়েছেন শান্তির পতাকা।
২০১৮ সালে রিয়ালকে ১৩তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। রিয়াল ইউরোপ সেরা হওয়ায় ভাবা হচ্ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে টপকে ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জিততে চলেছেন সিআর সেভেন।
সেবার রোনালদো নয়, সবাইকে অবাক করে ব্যালন ডি’অর ঘরে তোলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের রিয়াল সতীর্থ লুকা মদ্রিচ। বিষয়টা ভালো লাগেনি সিআর সেভেনের। মদ্রিচের ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে তার এবং তার বোনের কিছু মন্তব্য খেপিয়ে তুলেছিল রোনালদোর রিয়াল সতীর্থদের। রিয়াল ছেড়ে রোনালদোর জুভেন্টাসে চলে যাওয়াটাও মানতে কষ্ট হচ্ছিল রামোসের।
সেটা যাই হোক, এতকিছুর পর অবশেষে দুজনের দেখা হয়েছেন লিসবনে, পর্তুগাল-স্পেন প্রীতি ম্যাচে। দুজনেই আবার দুদলের অধিনায়ক। ম্যাচে রোনালদোর একাধিক শট বারে লাগায় রামোসের স্পেনের বিপক্ষে জয় পাওয়া হয়নি পর্তুগালের, হয়েছে গোলশূন্য ড্র।
ফলাফল হয়নি, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছুও হয়নি। বরং সম্পর্কের উষ্ণতা বেড়েছে রোনালদো-রামোসের। ম্যাচ শেষে পর্তুগালের ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলেন স্প্যানিশ অধিনায়ক। দেখা করে এসেছেন সাবেক দুই সতীর্থ রোনালদো ও পেপের সঙ্গে। তিনজনে মিলে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন।
ফেরার পথে রামোস সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন রোনালদোর স্বাক্ষরিত জার্সি। জার্সিতে প্রিয় বন্ধুর উদ্দেশ্যে পর্তুগিজ মহাতারকা লিখেছেন, ‘বন্ধু সার্জিওর জন্য আমার অনেক ভালোবাসা।’
রোনালদো-পেপের সঙ্গে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই পোস্ট করেছেন রামোস। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমরা এখনো একসঙ্গে, এখনও অনেককিছু বাকি। বন্ধু তোমাদের দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।’