প্রস্তাবটা রীতিমত লোভনীয়, বিশাল অঙ্কের। সৌদি আরব টুরিস্ট বোর্ডের দেওয়া প্রতিবছর ৬০ লাখ ইউরোর বিশাল এক প্রস্তাবকে পায়ে ঠেলে না করে দিয়েছেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!
যুবরাজ সালমানের নেতৃত্বে নিজেদের নতুন করে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপনের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি বড় বড় ক্রীড়াযজ্ঞও আয়োজন করা হচ্ছে আরব দেশটিতে। ২০১৯ সাল থেকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তিন বছরের জন্য স্প্যানিশ সুপার কাপের স্বাগতিক হয়েছে সৌদি আরব।
মূলত বিশ্বের কাছে নিজেদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তোলার জন্যই সৌদি সরকারের যত প্রয়াস।
মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও হাতে নিয়েছে রাজতান্ত্রিক দেশটি। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সৌদি টুরিস্ট বোর্ড শুরু করছে ‘ভিজিট সৌদি’ নামের এক ক্যাম্পেইন। সেই ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
তবে নিজেদের ইতিবাচকভাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইলেও রক্ত লেগে আছে সৌদি সরকারের হাতে। পাশের দেশ ইয়েমেনে আগ্রাসন, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কড়া নজরদারীতে আছে সৌদি আরব। ঠিক এসব কারণেই কিনা, এমন লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েও তাতে রাজী হননি রোনালদো।
শুধু রোনালদোই নন, একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকেও। রোনালদোর মত সরাসরি না বললেও প্রস্তাবে নিজের সম্মতির ব্যাপারে নিশ্চুপ আছেন মেসি ও তার বাবা এবং এজেন্ট হোর্হে মেসি।