বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে দণ্ডিত পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায়ের দণ্ড কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যতটুকু ভূমিকা রাখার আছে, সর্বোচ্চ ভাবে সেই চেষ্টা করা হবে। এবং এবিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করব। আময়া যে ২১৭ জন (আইন কর্মকর্তা) আছি সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজ এই অফিসে আছি, বিভিন্ন পদে অনেকে আছেন, এসব পদ কীভাবে পেলাম? বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা এসব জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, তার কারণ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।’
“যিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য। নিজের জীবনও বিসর্জন দিয়েছেন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে থাকতে হবে। প্রত্যেককে ধারণ করতে হবে যে, আমরা অসাম্প্রদায়িক মানুষ। এ দেশে যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এ ধরনের সিল কোনোভাবেই লাগাতে দেব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সবাই ভূমিকা রাখব। যার যেখান থেকে সম্ভব, সেখান থেকে আমরা ভূমিকা রাখব।”
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার করার কথা জানিয়ে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করব লাইব্রেরিতে। সেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পেপারবুক থাকবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁকে নিয়ে লেখা বই সংগ্রহ করব, যাতে কেউ এলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পড়তে, জানতে ও গবেষণা করতে পারে। যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি, তাহলে এটি সমৃদ্ধ করতে পারব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় আয়োজিত এই ভার্চুয়াল আলোচনার শেষে শোকপ্রস্তাব ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী বক্তব্য দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে আনোয়ারা শাহজাহান, বিশ্বজিৎ দেবনাথ, মো. বশিরউল্লাহ, বশির আহমেদ, আমিন উদ্দিন মানিক, সামিরা তারান্নুম রাবেয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস, কে এম মাসুদ রুমি, মো. তাহিরুল ইসলাম, বি এম আবদুর রাফেল, এস এম আশরাফুল হক জর্জ, এস এম ফজলুল হক, মো. গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ, সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী, বিপুল বাগমার, মো. সারওয়ার হোসেন বক্তব্য দেন। আর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে আনিচ উল মাওয়া, মো. আবুল কালাম খান, মো. নাসিম ইসলাম, মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, মো. তৌফিক সাজাওয়ার, মো. মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রখেন। দুই শতাধিক আইন কর্মকর্তার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দুই পর্বের এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।