বগুড়ায় এ বছর মরিচের চাষ হয়েছে ৮ হাজার চারশ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে সারিয়াকান্দি, গাবতলি ও শাহাজাহানপুরে। প্রতিমণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬ শত টাকায়।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, মরিচ চাষে তারা লাভের মুখ দেখছেন।
এক কৃষক জানান, এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রি করেছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মরিচ। আগামীতে আরো একলাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
আর এক মরিচ চাষি বলেন, দেশি মরিচের ফলন ভাল না হওয়ায় ব্যাপক আকারে হাইব্রিড মরিচের চাষ হচ্ছে।
মরিচের জমি থেকে মরিচ তুলতে কাজ করছেন প্রচুর নারী শ্রমিক। অনেক ক্ষেতে মরিচ তুলতে অংশ নিয়েছে গৃহিনীরাও। এক নারী কৃষক বলেন, সকাল আটটা থেকে মরিচ তুললেও দিনে মাত্র একশত টাকা পাই। তবে এক মরিচ চাষি বলেন, মরিচ ছেলে মানুষ দিয়ে তোলা সম্ভব না হওয়ায় মহিলা দিয়ে ওঠানো হয়।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর কৃষক হাইব্রিড মরিচের চাষ করার ফলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক চন্ডি দাস কুন্ডু বলেন, আমাদের সারিয়াকান্দি, গাবতলি ও শাহাজাহানপুর এলাকায় সাধারণত মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত এই এলাকাগুলোতে কৃষকদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মরিচ চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর মরিচের ভাল ফলন পেয়েছে চাষিরা।