ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সোহাগ খন্দকার নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। এমনকি আত্মহত্যার আগে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তার ফেসবুক ওয়ালে ৪টি স্ট্যাটাস দেন।
জানা যায়, নিহত ওই শিক্ষার্থী রাবির চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চারুকলা অনুষদের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুর আহম্মেদ। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত সোহাগের স্ট্যাটাসগুলো হলো: ভালো থাকুক সেসব মানুষ যারা শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার কাছে অন্যের গুরুত্ব নাই বললেই চলে, যদি কেউ আমার উপর কষ্ট নিয়ে থাকেন। আল্লাহর দোহাই মাফ করে দিবেন, জীবনের কাছে হার মেনে গেলাম। আমি আর পারলাম না, এবং একটা মানুষ যখন তার জীবনের কাছে হেরে যায় তখন আর করার কিছু থাকে না।
সোহাগের সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, সোহাগের ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে স্থানীয়রা তার বাসায় এসে তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেলে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, বিষয়টি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছ থেকে শুনেছি। তার পরিবার থেকে এখনো কোনো তথ্য পাইনি। যদি ঘটনা সত্য হয় তবে তা খুব বেদনাদায়ক। আত্মহত্যা কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না।