গত ইউরোয় ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শঙ্কার মেঘ জমিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ডেনমার্ক তারকার জীবন শঙ্কা ছিল। বুকে কৃত্রিম ডিভাইস বসানোয় শেষ হতে চলেছিল ক্যারিয়ারই। সুখবর হল, সব কাটিয়ে আবারও ফুটবলে ফিরছেন এরিকসেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এরিকসেন। আসছে জুনে শেষ হবে চলতি মৌসুম। সেই হিসেবে পাঁচ মাস ব্রেন্টফোর্ডের ডেরায় থাকছেন ড্যানিশ তারকা।
২৯ বছর বয়সী এরিকসেন ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমি শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি খুব জলদি আপনাদের সবাইকে দেখতে পাবো।’
ব্রেন্টফোর্ড কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক বলেছেন, ‘আবার ক্রিস্টিয়ানের (এরিকসেন) সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। শেষবার তাকে অনেককাল আগে কোচিং করিয়েছিলাম। তার বয়স তখন ছিল ১৬ বছর। তারপর থেকে অনেককিছু ঘটেছে। সারা ইউরোপের সব ট্রফি জিতেছে এবং ডেনিশ জাতীয় দলের তারকা হয়ে উঠেছে।’
‘ব্রেন্টফোর্ডে আমরা একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়কে আনার অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি। নে সাত মাস ধরে কোনো দলের সাথে প্রশিক্ষণ নেয়নি, কিন্তু নিজে অনেক কাজ করেছে। সে ফিট, কিন্তু আমাদের তাকে ম্যাচের জন্য ফিট করতে হবে। তাকে সর্বোচ্চ স্তরে ফিরে যেতে খেলোয়াড় এবং কর্মীদের সাথে কাজ করতে দেখার জন্য মরিয়া হয়ে আছি।’
‘নিজের সেরা সময়ে ক্রিস্টিয়ানের মাঠের খেলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে। সে সঠিক পাস খুঁজে পেতে পারে এবং গোলের জন্য (প্রতিপক্ষের কাছে) হুমকি।’
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বুকে ইমপ্লান্টেবল কার্ডিওভারটার ডিফিব্রিলেটর (আইসিডি) ডিভাইস ব্যবহার করছেন এরিকসেন। এটি শরীরে বহন করা অবস্থায় ইতালীয় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সিরি আ’তে খেলা নিষিদ্ধ করে। গত মাসে সমঝোতার ভিত্তিতে ইন্টার মিলান ছাড়তে হয় এরিকসেনকে।
ইপিএলে এধরনের কোনো নিয়ম নেই। এরিকসেনের তাই মাঠে নামতে বাধা নেই। প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। খেলার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন। ইংল্যান্ডে প্রথম পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আইসিডি লাগানো অবস্থায় খেলার নজির গড়তে চলেছেন ড্যানিশ তারকা।
২০১০ সালে ডাচ ক্লাব আয়াক্সে এরিকসেন পেশাদার ফুটবল শুরু। ২০১৩ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেন। ২০২০ সালে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানে যান।