চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এ যুক্ত হলেন ফরিদুর রেজা সাগর

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর তারকাবহুল প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এ প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। বুধবার চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্মাতা ফারুকী।

ফারুকী বলেন, নির্মাণের শুরু থেকেই সাগর ভাই (ফরিদুর রেজা সাগর) আমার পাশে ছিলেন। সবসময় সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকি আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ব্যাচেলর’সহ মেড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ও পিঁপড়াবিদ্যাতেও প্রযোজক হিসেবে ছিলেন তিনি। আমার প্রথম আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে তাঁকে পাশে পাওয়া নিশ্চয় আনন্দের।

ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এ যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছি। টরেন্টো, বুসান, রটার্ডামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও আমাদের ছবি গেছে। নেটফ্লিক্সেও আমাদের একাধিক ছবি রয়েছে। ফারুকীর প্রথম ছবি নির্মাণের সময় থেকেই আমরা ওকে সমর্থন দিয়ে এসেছি। ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ফারুকীর প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র। তাই এবারও তাকে সমর্থন দিতে তার পাশে থাকবো, এটাই স্বাভাবিক।

চলতি বছরের শুরুতেই শুটিং সম্পন্ন হয়েছে দেশের মেধাবী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত আন্তর্জাতিক ছবি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। শুরু থেকেই একের পর এক চমক দিয়েছেন নির্মাতা। সর্বশেষ চমক দিয়েছেন, ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানকে যুক্ত করে। যিনি এই ছবির সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি সহপ্রযোজক হিসেবেও যুক্ত হয়েছেন।

গেল নভেম্বর ও ডিসেম্বর নাগাদ এই চলচ্চিত্রের ৭০ ভাগ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে নিউ ইয়র্কে। বাকি অংশের চিত্রায়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে। ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউডের মেধাবী অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আছেন তাহসান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে অভিনয় করেছেন মেগান মিশেল।

এ আর রহমানের মতো এই চলচ্চিত্রে প্রযোজক হিসেব যুক্ত আছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও আমেরিকান প্রযোজক শ্রীহরি সাঠে। এছাড়াও কো-প্রডিউসার হিসেবে আছে বঙ্গবিডি।

‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর চিত্রনাট্য ইতোমধ্যে একাধিক ফেস্টিভ্যালে ফান্ড জিতে নিয়েছে। এটি ২০১৪ সালে বুসান ফিল্ম ফেস্টিভালে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে নির্বাচিত হয়। একই বছর নভেম্বরে ভারতের এনএফডিসি আয়োজিত ফিল্ম বাজারে শ্রেষ্ঠ প্রজেক্টের পুরস্কার লাভ করে এবং ডিসেম্বরে মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড-এর যৌথ উদ্যোগে দেয়া অ্যাপসা ফিল্ম ফান্ড লাভ করে।