চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের ভারত পরীক্ষা

যুব এশিয়া কাপ-২০১৮

প্রথম দল হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত উভয় দলই। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুদল।

গ্রুপপর্বে আধিপত্য দেখিয়ে শেষ চারে উঠেছে ভারত। ‘এ’ গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই জিতেছে তারা। সেই তুলনায় একটু পিছিয়ে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে ‘বি’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে সেমিতে উঠেছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ-ভারতের যুব দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে অবশ্য বড় ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। বাংলাদেশের সামনে রাখা ২৬৬ রানের লক্ষ্যের সেই ম্যাচ ১৩১ রানে জেতে ভারত।

সেখানে ঘরের মাঠের এশিয়া কাপেও শুরুটা ভালো হয়নি টাইগার যুবাদের। প্রথম ম্যাচের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে সেমিতে ওঠে তারা।

টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত আহামরি কিছু করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। তিন ম্যাচের দলের মাত্র একজন ব্যাটসম্যান (শামীম হোসাইন) হাফসেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। ভারতের বিপক্ষে তাই ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় থাকবে বাংলাদেশ। তবে ভারতের বিডক্ষে শামীমের সঙ্গে অন্যরাও যেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে সেটাই আশা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

শামীম ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ছোট ছোট কিছু ইনিংস খেলেছেন প্রান্তিক নওরোজ, অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় এবং আকবর আলী। ভারতের বিপক্ষে এদের সবাইকেই নিজের মতো ফর্মে ফিরতে হবে। নয়তো ভারতের মতো দলের বিপক্ষে বেগ পেতে হবে।

প্রথম তিন ম্যাচে দলকে পথ দেখিয়েছেন বোলাররাই। হংকংকে ৯১ রানের গুটিয়ে দেয়ার পর পাকিস্তানকে ২০০’র ভেতরে (১৮৭) আটকে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে স্বাগতিকদের তুরুপের তাস হতে পারেন বোলাররাই।

রিসাদ হোসাইন, শরিফুল ইসলাম এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা মিলে বিশ্বের যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামানোর ক্ষমতা রাখেন। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে তাই ভারতও বিষয়টা মাথায় রাখবে।

প্রথম তিন ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার রিসাদ। যার মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট আছে। শরিফুল নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। আর বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ইকোনোমি রেট সবচেয়ে ভালো মৃত্যুঞ্জয়ের (১.৯২)। এই তিনজনের সামনে চাপেই থাকবেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

অন্যদিকে, গ্রুপপর্বে এখনও অপরাজিত ভারত। তাদের সামনে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। নেপালের বিপক্ষে ১৭২ রানের বিশাল জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে দলটি। পরের দুই ম্যাচেও আধিপত্য দেখায় তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২২৭ রানের হারানোর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতে ৫১ রানে। মিডলঅর্ডারে একটু দুর্বলতা থাকলেও ব্যাটিং শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে ভারত।

দেবদত্ত পাদিকাল ও যশসভী জয়সওয়াল মিলে প্রতিটি ম্যাচেই ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। দুজনই এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের টপস্কোরার। জয়সওয়াল করেছেন ১৯৬ এবং পাদিকাল ১৫১ রান। দুজনের সঙ্গে আরও আছেন অঞ্জু রাওয়াত, আয়ুস বাদোনি এবং অধিনায়ক পবন শাহ।

ব্যাটসম্যানের মতো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা বোলারও ভারতের। তিন ম্যাচের ১৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন সিদ্ধার্থ দেশাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। সিদ্ধার্থের সঙ্গে আছেন ছয় উইকেট নেয়া হার্শ ত্যাগী এবং তিন উইকেট পাওয়া সামির চৌধুরী।

বাংলাদেশের সম্ভব্য একাদশ: তৌহিদ হৃদয় (অধি.), প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, শামীম হোসাইন, আকবর আলী, রিসাদ হোসাইন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় এবং রকিবুল হাসান।

ভারতের সম্ভব্য একাদশ: পবন শাহ (অধি.), অঞ্জু রাওয়াত, যশসভী জয়সওয়াল, পাভন শাহ, দেবদত্ত পাদিকাল, মোহিত জাংরা, সামির চৌধুরী, প্রভাসিমরান সিং, হার্শ ত্যাগী, সাবির খান, আয়ুস বাদোনি এবং সিদ্ধার্থ দেশাই।