সিলেট থেকে: শুধু ড্র হলেই চলতো। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের জয়ই উপহার দিল ফিলিপিন্স! লাওসের বিপক্ষে র্যাঙ্কিংয়ের ১১৪তম স্থানে থাকা দলটির ৩-১ গোলের জয়ে বাংলাদেশের জন্যও এসেছে সুখবর। এক ম্যাচ হাতে রেখেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপের সেমিতে উঠে গেছে লাল-সবুজরা।
গ্রুপ ‘বি’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের ফলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থানে বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্স। এই গ্রুপ থেকে এ দুদলই খেলবে সেমিতে। যদিও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে জামাল ভুঁইয়ারা। শুক্রবার গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্স। সেখানে দুই ম্যাচের হারে দেশে ফেরার টিকিট কেটেছে লাওস।
অথচ বুধবার লাওসের শুরুটা হয়েছিল অসাধারণই। র্যাঙ্কিংয়ে ৫০এর বেশি এগিয়ে থাকা ফিলিপিন্সকে শুরুতে বেশ কয়েকবার কাঁপিয়ে দেয় দলটি। ঠাণ্ডা মাথায় সেসব আক্রমণ প্রতিহত করে আস্তে আস্তে খেলার দখল নিয়ে প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে এগিয়ে যায় ফিলিপিন্স।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে লাওস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন জোবিন বেদিচ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে পরের মিনিটে নিজেই স্পটকিক নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন এ ফরোয়ার্ড।
যেখানে শেষ করেছিল, বিরতির পর সেখান থেকেই যেন শুরু করে ফিলিপিন্স। ৫৪ মিনিটে হিকারু মাইনঘিশির উড়িয়ে দেয়া বল হেডে জালে জড়ান ফরোয়ার্ড জাভিয়ের অগাস্টিন।
দুই গোলের ব্যবধান নিরাপদই ছিল। তখন ম্যাচের ৮২ মিনিটে অনেকটা আলসেমি করে ডি-বক্সে হাতে বল লাগিয়ে বসেন লাওস ডিফেন্ডার সৌকসান সৌখসাবাথ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দুবার ভাবেননি। সেই পেনাল্টিকে গোলে রূপান্তর করে সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাওয়া নিশ্চিত করেন ফিলিপিন্স অধিনায়ক মিসাহাক বাহাদুরাং।
শেষদিকের ৫ মিনিটে তেড়েফুঁড়ে খেলে সান্ত্বনার একটি গোল অবশ্য আদায় করেছে লাওস। সেটিও পেনাল্টি থেকে। চার গোলের ম্যাচে পেনাল্টি থেকেই গোল তিনটি!