একাত্তরে নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ গণহত্যার অপরাধে পলাতক সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান
আলী রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার
নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন।
বিচার
কার্যক্রম শেষ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয় কিশোরগঞ্জের
তাড়াইলের রাজাকারের দারোগা হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান আলীর
মামলায়।
আসামী পলাতক থাকায় রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কড়াকড়ি ছিলো না
ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে। আদালত কক্ষেও ছিলো না অন্য মামলাগুলোর মতো
গণমাধ্যম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিড়।
রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আসামীর
আইনজীবীর বিলম্বে উপস্থিতির কারণে ১১টার কিছু পরে রায় পড়া শুরু করেন তিন
সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। রায় পড়ার আগে পলাতক আসামীদের বিষয়ে কিছু মন্তব্য
করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম ইনায়েতুর রহিম।
কিশোরগঞ্জ
জেলার তাড়াইলের এ রাজাকার কমান্ডারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬টি
অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এরমধ্যে রয়েছে গণহত্যা, হত্যা,
অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।
এসব অভিযোগের মধ্যে ৫টিই
প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে গণহত্যার অপরাধে তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। আর
হত্যা ও লুণ্ঠনের জন্য আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ প্রমাণের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৬ সাক্ষী উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আইন অনুযায়ী রায় ঘোষণার দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপীল করার সুযোগ থাকলেও রাজাকার হাসান আলী পলাতক থাকায় সে সুযোগ পাবে না।