চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রবৃদ্ধিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ

ভারতে মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়েও কম হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত বা কম হবে। এর আগে জুন মাসে আইএমএফ বলেছিল, ভারতের জিডিপি কমতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

তবে জুনের ধারণার চেয়েও এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো আশঙ্কাজনক হারে কমবে বলে জানালো আইএমএফ। চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক হার কমবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

আইএমএফের ধারণা, যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১৮৮৮ ডলার, সেখানে ভারতের জিডিপি হতে পারে ১৮৭৭ ডলার।

তবে আইএমএফ বলছে, ২০২১-এ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তখন জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। যা চীনের দেয়া পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হবে।

চীন বলেছিল, এ সময় ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের বার্ষিক সভায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে তা হতে পারে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের পেছনে পড়ার আশঙ্কার জন্য ভারতের মোদি সরকারের ভুল নীতিকেই দায়ী করেছেন দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গাঁধী।

তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ৬ বছরে বিজেপির বিদ্বেষমূলক জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির সাফল্য হল, বাংলাদেশ ভারতকে টপকে যেতে চলেছে।

ব্রিকসের (ব্রাজিল, চিন, রাশিয়া, এবং ভারত এই চার দেশকে নিয়েই গঠিত হয়েছে ব্রিকস) দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতিই সবচেয়ে বেশি সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পূর্বাভাস।

সংস্থাটির ধারণা, ব্রাজিলের অর্থনীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে, রাশিয়ার অর্থনীতি ৪ দশমিক ১ শতাংশ হারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি ৮ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হতে পারে।

তবে একমাত্র ব্যতিক্রম হল চীন। তাদের অর্থনীতি ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে।