তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন: আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবুজায়নের যে ডাক দিয়ে পরিবেশ রক্ষার কাজটি করে যাচ্ছেন তা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ: বৃক্ষরোপণে বিশুদ্ধ হোক পরিবেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন৷ ওয়েবিনারের সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন৷
হাছান মাহমুদ বলেন: জলবায়ু পরিবর্তনের সকল উপাদান বাংলাদেশে দৃশ্যমান। এমন প্রেক্ষাপটে মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সবুজায়নের ডাক দিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষার কাজটি করে যাচ্ছেন। তিনি যেটা করছেন সেটা পৃথিবীর কাছে একটা উদাহরণ। সেজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার পুরস্কৃত হয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কারে তিনি মনোনীত হয়েছেন। দেশের জলবায়ু এবং পরিবেশ রক্ষা করতে গিয়ে তিনি আরও পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে মনোনিয়োগ করেছেন এমনটি নয়। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর পর ১৯৮৩ সালে দুই বছরব্যাপী তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন।
তিনি আরও বলেন: সে সময়ে তার যে স্লোগান ছিল সেটি এখনো আছে। সেটি হচ্ছে একটি করে ভেষজ, বনজ এবং ঔষুধি গাছ লাগান। ৩০-৪০ বছর আগে বনে প্রচুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন আপনারা দেখবেন বসতি এলাকায় প্রচুর গাছ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সামাজিক বনায়নের ডাকের কারণে। বৃক্ষরোপনকে তিনি একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করেছেন।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রকৃতির অবস্থা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক এ সম্পাদক বলেন: এখনকার যে প্রকৃতি সে প্রকৃতি অনেক নির্মোহ-নির্মল। কারণ এই সময়ে প্রকৃতি তার আপন নিজস্বতায় বিকশিত হতে পারছে। এটি প্রমাণ করে আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রকৃতির উপর এরকম অত্যাচার করি।
আলোচনা অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্ণেল ফারুক খান বলেন: শুধু গাছ লাগালে চলবেনা, গাছ রক্ষা করতে হবে কোভিড-১৯ এর সময়ে প্রমাণিত হয়েছে পরিবেশের সবথেকে বড় ক্ষতি করি আমরা।
তিনি আরও বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য স্পষ্ট। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন আমরা পরিবেশ রক্ষায় যা করার করছি এবং যা প্রয়োজন তা করব। আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ লোকেরা রয়েছেন তাদের কাছ থেকে আমাদের আরো বেশি বেশি করে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। আমি আহবান জানাবো তাদের এগিয়ে আসার। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিবেশ নিয়ে যে কাজ করেছি সে কার্যক্রম গুলো বেশি করে তুলে ধরতে হবে। যেন বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপকূল রক্ষায় বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ড. অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপিসহ অনেকে।