চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রথম টেলিভিশন নাটকের অভিনেতার জন্য শোকগাঁথা

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান অভিনেতা ফরিদ আলীর মৃত্যুতে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চ্যানেল আই অফিসে খোলা হয়েছে অভিনেতা ফরিদ আলী স্মরণ শোক বই।

দেশের প্রথম টেলিভিশন নাটকের অভিনেতার জন্য শোকগাঁথা জানাচ্ছেন তার সহকর্মী, বন্ধুসহ গণমাধ্যম ও নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।

বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা শোকবইয়ে লিখেছেন, প্রিয় মানুষ ফরিদ আলী ‘যে ব্যথায় এ অন্তরতল নিশীদিন উঠিছে দুলে-’ অনন্য সাধারণ এ অভিনেতা সকল বাঙ্গালীর হৃদয়কে জয় করে চলে গেলেন ইহজগৎ ছেড়ে । তাঁর প্রতি আমাদের অনেক দোয়া।

বিটিভির হাসির নাটক ত্রি রত্নতে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় আগমন ফরিদ আলীর। অভিনেতা ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পন ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। একে একে সংগ্রাম, গুণ্ডা, রংবাজ, ঘুড্ডি ও তিতাস একটি নদীর নামের মতো অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি।

ফরিদ আলীর বন্ধু ও সহকর্মী কেরামত মওলা বলেন, তিনি টেলিভিশনের প্রথম নাটকে অভিনয় করেছিলেন, খুবই সজ্জন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন ফরিদ আলী।

ফরিদ আলী অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শকমনে এখনও দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সাথে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম।

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ফরিদ আলী নেই এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, ৫৫  বছরের সম্পর্ক কীভাবে ভুলি। ওর অভিনয় সব কিছু আমার হৃদয়ে মণিকোঠায় থাকবে। আমার মৃত্যু না হলে ফরিদ অালীকে ভোলা সম্ভব না। 

ফরিদ আলী বড় ছেলে ইশতিয়াক আলী শুভ বলেন, অসুস্থ থাকাকালীন বাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে সব সময় সাহায্য সহায়তা পেয়েছি, চ্যানেল আইয়ের কাছ থেকেও সহায়তা পেয়েছি।

শুধুমাত্র অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক হলো-‘নবজন্ম’।

১৯৪৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদ আলী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।