চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো হজের নিরাপত্তায় নারী সেনা

এবছরের হজে প্রথমবারের মতো পবিত্র কাবা ঘরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো এবং মদিনায় মসজিদে নববীতে নারী সেনা নিয়োগ দিয়েছেন সৌদি সরকার।

হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এপ্রিলের প্রথম থেকেই হজ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নারী সেনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত ভিশন-২০৩০ ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরব সংস্কারের দিকে এগুচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, বিশেষ করে নারীদের কর্মক্ষেত্র প্রসার ঘটেছে ব্যাপকভাবে।

রক্ষণশীল সৌদি আরবে একসময় নারীদের কর্মক্ষেত্রে তেমন একটা দেখা যেত না। এর আগে সৌদি পুলিশে নারীরা যোগ দিলেও তা ছিল তুলনামূলক খুবই কম। বেসরকারি সেক্টরে নারীদের তেমন একটা দেখা যেত না। কিন্তু সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত ধরেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি নারীরা।

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আইন পরিষদ মজলিসে শুরা কমিটি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি সেক্টরে পুরুষের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন সৌদি নারীরা।

এ বছর সৌদি আরবের পবিত্র হজ পালনে সময় পবিত্র কাবা ঘর ও হজ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরুষ সেনাদের পাশাপাশি নারীরাও পালন করেছে। বিশেষ করে হজ উপলক্ষে তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা টিমের মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করেছেন সৌদি নারী পুলিশ কর্মকর্তা মিস আবির আল রশিদ।

কয়েক বছর আগেও অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করা, গাড়ি চালানো, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারতো না নারীরা। বেশকিছু ক্ষেত্রে সৌদি আরবে নারীদের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মোনা নামের সৌদি নারী সেনা বলেন, ‘হাজিদের সেবায় কাজ করা খুবই মহৎ এবং সম্মানজনক।’

‘‘আমি আমার প্রয়াত বাবার অনুপ্রেরণাতেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি। তার স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশে তারই পথ অনুসরণ করছি। পবিত্র কাবার সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছি।’’