কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে দুর্ঘটনার মুহূর্তের বিস্তারিত। তারা বলছেন: শুরুতে বিষয়টিকে আতশবাজি মনে করলেও পরে তারা জানতে পারেন এটি আসলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন: আমি যখন কারালিয়া নামক স্থানে আসছি, আকাশে দেখলাম বিকট আওয়াজ হয়ে আগুন জ্বলছে। আমি ভাবলাম বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের আতশবাজি হচ্ছে। গুরুঘাটা নামক স্থানে আসার পর দেখলাম অনেক মানুষ আসছে। সবাই বলছে এখানে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন: মাগরিবের আযানের পরপরই মহেশখালী পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ডে আমরা রিকশায় করে যাচ্ছিলাম। ছয়টা বত্রিশ মিনিটে দুটি বিকট আওয়াজ পেলাম। তখন দেখলাম আকাশে আগুনের দুটি গোলা। একটা পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ডে আরেকটি দেখলাম ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে মাইজপাড়ায় পড়ছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ কুটিবিলার বসতবাড়ির ওপর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। অপরটি বিধ্বস্ত হয় মাইঝপাড়া গ্রামের পানের বরজের উপর। এ ঘটনায় ৪ পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পরিচালক রাশিদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: মহেশখালীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান দুটিতে ছিলেন ৪ জন পাইলট, তাদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি উল্লেখ করে আইএসপিআর-এর পরিচালক বলেন: এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। পরে তা মহেশখালী উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে মুহূর্তেই আগুন লেগে যায়।
ভিডিওতে দেখুন প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের বিস্তারিত: