বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা আইএফসির ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশির ভাগ ব্যাংকগুলোতে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, মাত্র পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে এ টাকা দেয়ায় তারা প্রক্রিয়াগত জটিলতায় পড়ছেন। তবে ব্যাংকগুলো বলছে, অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদেরও প্রয়োজনীয় শর্তপূরণসাপেক্ষ অর্থ দিতে পারেন তারা।
রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাকে নিরাপদ ও শ্রমিকবান্ধব করতে ৫০ মিলয়ন ডলার অর্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নকারী সংস্থা আইএফসি।
৫টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ অর্থ দেয়ার চুক্তি হয়। বায়ার দুই জোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের পরিদর্শনে অনেক রপ্তানিকারকেরই কারখানা স্থানান্তর এবং ভূমিকম্পসহিষ্ণু ও নিরাপদ করতে অর্থ প্রয়োজন হয়। তারপরও তিন বছরে নামমাত্র কারখানা এ সুবিধা নিতে পেরেছে।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন আইএফসি যে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে এ অর্থের যোগান দিচ্ছে এটা না করে যদি ব্যাংকের পরিমাণ বাড়ানো যায় এবং ছোট ও মাঝারি ফ্যাক্টরিগুলো বেনিফিশারি হবে।
শেয়ার বিল্ডিংয়ের ব্যাপারে আইএফসি যে পাঁচটি ব্যাংককে ফাইনান্স করছে আইএফসির কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। ব্যাংকগুলো বলছে, ভালো উদ্যোক্তা এবং যাদের কারখানাগুলো গার্মেন্টস খাতের সংশোধনমূলক কর্মপরিকল্পনা ক্যাপের নির্দেশনা পূরণ করেছে, সেগুলোকেই আইএফসির অর্থায়ন করছেন তারা।
ইউসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, শেয়ার বিল্ডিংতো তারা অনুমতি দেয় না। আমরা ২২৬ টা প্ল্যান্টের মধ্য থেকে দশ জনের মধ্য থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলো প্রসেস করে ৬ দশমিক দুই মিলিয়ন পাশ দিয়েছি। আইএফসি শুধুমাত্র পাঁচটি ব্যাংকের ক্লায়েন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে নি। তারা অন্যান্য ব্যাংকের ক্লায়েন্টদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই ঐ ব্যাংকগুলোয় আমাদের কাছে আসতে পারে।
রানা প্লাজা ধসের পর আইএফসির মতো বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা অর্থ দিলেও বিভিন্ন ধরনের শর্ত পূরণ করেই কারখানাগুলোকে সে অর্থ নিতে হচ্ছে। অথচ পোশাক কারখানাগুলোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে, ২০১৮ সালের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের নিদের্শনা অনুযায়ী ত্রুটি সারিয়ে নেয়ার।