পর্যালোচনার পরে দেখা গেছে পেরুতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে আর এর মধ্যে দিয়ে দেশটি বিশ্বের মাথাপিছু সর্বোচ্চ মৃত্যুর হারের দেশে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
বর্তমানে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি, যেখানে আগে সংখ্যাটা ছিলো ৬৯ হাজার ৩৪২।
পেরুর প্রধানমন্ত্রী ভায়োলেটা বারমুডেজ সাংবাদিকদের বলেন, পেরু ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো এই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এটি তথাকথিত ‘অতিরিক্ত মৃত্যু’র পরিসংখ্যানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
অতিরিক্ত মৃত্যু একটি পরিমাপ যেখানে বিগত কয়েক বছরের উপর ভিত্তি করে প্রত্যাশার চেয়ে আরও কত বেশি লোক মারা যাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। বারমুডেজ বলেন, আপডেট তথ্য জনগণকে জানানো আমাদের দায়িত্ব বলেই মনে করি আমরা।
লাটিন আমেরিকার মধ্যে এই দেশটিতে করোনার আঘাত তীব্র। ফলে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভোগান্তি ও অক্সিজেনের সঙ্কটও প্রবল।
পার্শ্ববর্তী কলম্বিয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৮৮,২৮২ জন, বলিভিয়াতে ১৪,০০০ জন। ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যার দেশগুলোর একটি। সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
তবে জন্স হপকিন্সের তথ্যমতে, জনসংখ্যার দিক থেকে পেরুতে এখন মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর আগে মাথাপিছু মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলো হাঙ্গেরি। সেখানে প্রতি ১ লাখে প্রাণ হারিয়েছিলো ৩০০ জন। বর্তমানে পেরুর সংখ্যাটা দাঁড়ালো ১ লাখে ৫০০ জনে।