পেঁয়াজের ঝাঁজ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে ইতোমধ্যে সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছেছে পেঁয়াজের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় বৈঠক করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পেঁয়াজ নিয়ে চলতি সপ্তাহ থেকেই গণ্ডগোল শুরু। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। ফলে গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। এমন খবরে হু হু করে দেশের বাজারে বাড়ছে মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম। মাত্র একদিনেই এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
বাণিজ্যমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এখনই পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। ভোক্তাদের সংযমী হতে হবে। কিছু মানুষ অস্থির হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনছে, এতে বাজারে প্রভাব পড়ছে। ফলে দাম বেড়েছে।’ বাণিজ্যমন্ত্রীর একথা অযৌক্তিক নয়। তবে কথার চেয়ে এখন সবাইকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ানোর বিষয়ে কারসাজি স্পষ্ট। দেশে এখনও ৬ লাখ টন পেয়াজ মজুদ আছে। এছাড়াও মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরপরও পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকার কাম্য নয়।
পেঁয়াজ নিয়ে গত বছরের এত তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে এমন হতো না। এরপরও যথাযথ কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।