ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী এবং ডিসিসি কর্মকর্তা বিকাশকে নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। হাসপাতালে বিকাশ দাসকে দেখতে গিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, পুলিশি এই নির্যাতনের ঘটনা জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও দেশের নির্যাতনবিরোধী আইনের লঙ্ঘন।
রাব্বীর পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক বিকাশ দাসও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে স্থানান্তর করা হয় ল্যাব এইডে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বিকাশেএখনও আশঙ্কামুক্ত নন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিকাশকে দেখতে যান। ফিরে এসে সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, আমরা বেশ লক্ষ্য করছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর ভেতরে এক ধরনের দায়মুক্তির ভাব যেনো তাদের গ্রাস করেছে।
‘তারা মনে করছেন জনগণের সঙ্গে অপরাধ করে অন্যায় করে পার পেয়ে যাবেন। এবং তাদের কোনো শাস্তি হবে না। আসলে এই ধারণা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের বেরিয়ে আসতে হবে,’ মন্তব্য করে তিনি বলেন: এজন্য অপরাধী যে কেউ হোক না কেনো দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সরকারকে দিতে হবে।
সাইকোথেরাপিতে রাব্বী
ওদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাব্বীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত। তার কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপি চলছে।
রাব্বীর বোন বলেন, আমার ভাইয়কে যারা নির্যাতন করেছে তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ পুলিশ বলতে তো আর সব পুলিশ খারাপ না। দু’একজন পুলিশ আছে যারা পুলিশের এ পদটিকে কলঙ্কিত করছে।
‘রাব্বীর একটাই চাওয়া, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যে দোষী তার উপযুক্ত বিচার হোক।’
বৃহস্পতিবার রাতে রাব্বীকে হুমকি দেয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে রাব্বীর পরিবার।