নারীকে পুরুষতন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শুক্রবার ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নারী সেল এর আয়োজনে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নারীকে দুইটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়- এক হলো বিদ্যমান শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে, আরেকটি হলো পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না সমাজে তখন শোষণ নিপীড়ন বাড়তেই থাকে এবং এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারী সমাজ। যার কারণে আজকে বাংলাদেশে যে কোনো সময়ের চেয়ে নারী নির্যাতন খুন-ধর্ষণ ও শিশু হত্যা ভয়াবহ আকরে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই দেশের, কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সিপিবি কেন্দ্রীয় নারী সেলের আহবায়ক কমরেড লক্ষী চক্রবর্তী বলেন, নারী মুক্তির লড়াই একটি রাজনৈতিক মতাদর্শিক লড়াই। সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে তা আসলে নির্ভর করে নারীর প্রতি রাষ্ট্রের কী দৃষ্টিভঙ্গী তার উপর। পুঁজিবাদ নারীকে পণ্যে পরিণত করে, মৌলবাদ নারীকে আরও অধীনস্ত করে তুলে। এ দুইই সমানভাবে নারীমুক্তি ও নারীর সমঅধিকারের বিরোধী শক্তি, কাজেই এ দুয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে যা প্রকারান্তরে সমাজ পরিবর্তনের লড়াই।
বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে সমাজতান্ত্রিকরাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা করে। নারীশ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি-ও ন্যায্য শ্রমঘণ্টা প্রতিষ্ঠার লড়াইই আজ সারা বিশ্বের নারীমুক্তির আন্দোলনের প্রেরণার উৎসে পরিণত হয়েছে।
আলোচনা সভায় নারী সেলের নেতৃবৃন্দ নারীর প্রতি বিদ্যমান নানা বৈষম্য ও নীপিড়নের তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকাল ৩টায় ‘নারীর প্রতি সহিংসতা ও শোষণ -বৈষম্য রুখো, সমাজতন্ত্রের লড়াই অগ্রসর করো’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি র্যা লী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে সচিবালয় প্রদক্ষিণ করে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে মৈত্রী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।