চার বছর ধরে চলা সিরিয়া সংকট সমাধানে একমত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সিরিয়ার জনগণের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে তারা। তুরস্কে দুদিন ব্যাপী জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিয়ে তারা এই বিষয়ে আলোচনা করেন। এবারের সম্মেলনে বিশ্বনেতারা অভিবাসী সমস্য ও আইএস দমনকেই প্রধান ইস্যু ভাবছেন।
সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের চার বছরের মাথায় এসে দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবার একমত হয়েছে আর যুদ্ধ নয়, আর রক্ত ও প্রাণহানি নয়। এবার সিরিয়ায় শান্তি আসা দরকার। তুরস্কে জি-২০ সম্মেলনে ওবামা-পুতিন আলাদা করে ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সিরিয়ানদের হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনেও তারা সম্মত হয়েছেন। এই দুই বিষয়ের সংকট সমাধানে একমত হলেও তা কার্যকরের পথ নিয়ে এখনো মত পার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে। রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আর যুক্তরাষ্ট্র আসাদ বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে।
ফ্রান্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার একদিন পরেই শুরু হয় বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ২০ দেশের জোট জি-২০ সম্মেলন। তাদের আলোচনার প্রধান ইস্যু অর্থনৈতিক বিষয়ে থাকার কথা থাকলেও এবারের সম্মেলনে আইএস দমন ও অভিবাসী সমস্য মোকাবেলাই প্রধান ইস্যু।
সম্মেলনে স্বাগতিক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যদিও সন্ত্রাসকে কোনো ধর্ম, গোষ্ঠী বা দেশ সমর্থন করে না। আইএস বিরোধী অভিযানের শক্তি দ্বিগুন করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও আইএস উত্থানের কারণে লাখ লাখ মানুষ সে দেশ ছাড়া হয়েছে। একই অবস্থা ইরাকেও। ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে শরণার্থীদের স্রোত বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে সম্মেলনের প্রধান ইস্যু হয় শরণার্থী সমস্যা সমাধানের পথ বের করা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক অভিযোগ করেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলা এই সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার হামলা ইউরোপে শরণার্থীর সংখ্যা আরো বাড়াবে।