প্রথম দুই ম্যাচে টানা অর্ধশতকে দলের রানের চাকা প্রায় একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। জয়ও এসেছিলো পেশোয়ার জালমির ঘরে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে জ্বলে ওঠতে ব্যর্থ টাইগার এ ব্যাটসম্যান। ফলাফল ৩ উইকেটে হার।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর গতির ছিলো পেশোয়ারের। তবে বিপর্যয়ের শুরুটা হয় দলীয় ২২ রানে তামিমের বিদায়ে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শহীদ আফ্রিদির দল। ৫৯ রানের মধ্যে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে তারা। তামিম ফেরেন মাত্র ১৪ রানে।
শেষ পর্যন্ত উইকেট ধরে রাখতে পারলেও রানের চাকা সচল হয়নি। ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৩৯ রান। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন ড্যারেন সামি। ৩১ বলের ইনিংসটি ছিলো ৪ ছয় এবং ১ চারে সাজানো।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৩ বলের মধ্যে ৩৫ রান তুলে নিয়ে জয়ের বার্তাই দিচ্ছিলো কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। কিন্তু ৩৫ রানে দু’ওপেনার আহমেদ শেহেজাদ এবং লুক রাইটকে হারিয়ে চাপে পড়ে সরফরাজ আহমেদের দল। শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গ্লাডিয়েটর্স।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে গেলে কোয়েটা এবং ৩ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমি।
প্রথম দু’ম্যাচে তামিমের করা ৫১ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৫ রানে ওপর ভর করে জয় পায় পেশোয়ার।