চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভালোবাসা দিবসে চুমুর ইভেন্টে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া

ভালোবাসা দিবসে ঢাকায় প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার আহবান জানিয়ে দুই প্রবাসীর ফেসবুকে ‘ভালোবাসা দিবসে
পুলিশি পাহারায় প্রকাশ্যে চুমু খাব’ নামে একটি ইভেন্ট খোলার প্রতিক্রিয়ায়
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ইভেন্টটিতে আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়, “ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে নাকি কড়া পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতে নাকি প্রকাশ্যে চুমু খেলে পুলিশ গ্রেফতারও করবে।

প্রতিবছরই এই দিনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পুলিশ বিভিন্ন রকম হয়রানি করে। ধানমন্ডি লেকে, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হাত ধরেও হাঁটা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।

এর প্রতিবাদে সকল জুটিকে আহবান জানানো যাচ্ছে যে, স্ব স্ব প্রেমিক প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে চুমু খাবার।”

ইভেন্টটি খুলেছেন জার্মানিপ্রবাসী অনন্য আজাদ এবং শাম্মী হক।

এর প্রতিক্রিয়ায় মাসুদ রানা হৃদয় নামে এক ব্যক্তি সেখানে মন্তব্য করেন, ‘ভালবাসার মানে নারী দেহের লালসা না। যারা এসব বাজে কাজ করে ভালোবাসার নামে; তারা কখনো ভালোবাসে না কাউকে, শুধুমাত্র নারী ক্ষুধাকে মেটায়।’

ইভেন্টেটির একজন হোস্টের ফেসবুকে এই সংক্রান্ত স্ট্যাটাসের নিচে অরেকজন মন্তব্য করেন, ‘প্রচারেই প্রসার। নিজের মুখ উজ্জ্বল করার হাতিয়ার। তবে দেশে আইসা করেন ‘

অপর হোস্টের স্ট্যাটাসে রাকিবুল হাসান নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘ইসলামের বিরোধিতা ছাড়া কি কোনো কাজ নেই?’

এরকম অজস্র মন্তব্য ইভেন্টটির পেজে এবং হোস্ট দুজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের জবাবে দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ মন্তব্যই ছাপার অযোগ্য। 

ইভেন্ট আহ্বানকারীরা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অনেকেই ভালোবাসার চুমু এবং যৌনতাকে এক করে দেখছেন যা তাদের চিন্তার দীনতাকে প্রকাশ করে।