লেখক, পাঠকদের পদচারণায় মুখরিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭-তে এবারের অন্যতম আকর্ষণ ‘আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। প্রথম দিনেই মেলায় আসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের বইটিকে ঘিরে পাঠকদের আগ্রহ লক্ষ্যনীয়। বইটির প্রকাশক অন্বেষা প্রকাশনের সাহাদত হোসাইন জানান, পাঠক মহলে বইটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
দেশের ছাত্র সমাজ বইটিকে পরম ভালোবাসায় গ্রহণ করবে বলে আশান্বিত লেখক জাকির হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের পেছনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রয়েছে গভীর আত্মত্যাগের ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের ছাত্রসমাজ যাতে ছাত্রলীগের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেই প্রয়াস থেকেই বইটি রচনা উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
বইমেলার শুরুর ১৩ দিনের মাথায় বইটির পাঠকপ্রিয়তার প্রসঙ্গে অন্বেষা প্রকাশন প্রকাশক সাহাদাত হোসাইন জানান, ‘গত ১২ দিনে আমরা জাকির হোসাইনের রচিত বইটি প্রায় সাত হাজার কপি বিক্রি করেছি।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সতের হাজারেরও অধিক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর স্মৃতির প্রতি’ উৎসর্গকৃত বইটির মুখবন্ধে অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশিদ লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ের সাহায্যে সে (লেখক) এটি তৈরি করেছে। কোনো কিছু লেখা সহজ কাজ নয়। বই লেখা আরও কঠিন ও কষ্টসাধ্য। এজন্য অনেক কিছু জানতে ও পাঠ করতে হয়।’
অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ। বইটির মূল্য ২০০ টাকা। মেলার প্রথম দিন থেকেই অন্বেষা প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন-১২ ও ছাত্রলীগের নিজস্ব স্টল ‘মাতৃভূমি’তে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
বইটিকে মোট ঊনিশটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনের ইতিহাস, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বকথা, ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ছাত্রলীগের ভূমিকা, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা, ছাত্রলীগের কর্মী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, বাঙালির ম্যাগনাকার্টা ছয় দফা বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ, আগরতলা মামলা ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অধ্যায় আছে।
প্রতিটি অধ্যায়ই দেখিয়েছে ছাত্রত্ব কীভাবে নেতৃত্ব তৈরি করেছে, সংকটে দেশপ্রেম জাগিয়েছে, ক্রীতদাস হিসেবে বাঁচার চাইতে বিজয়ই কাম্য করে তুলেছে। শিখিয়েছে রাজনীতির ছাত্রত্ব হচ্ছে অ্যাকিলিসের বর্শার মতো- নিজে যে ক্ষত সৃষ্টি করে, নিজেই তা সারিয়ে তুলতে পারে।
বইটির পরিশিষ্ট-১ এ ছাত্রলীগের মূলনীতি, পরিশিষ্ট-২ এ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তালিকা (১৮৪৮-২০১৬), পরিশিষ্ট-৩ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিকভাবে পালিত দিবস বা অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা বইটির নৈর্ব্যক্তিকতা বাড়িয়েছে।
বইটির শেষে সাতাশটি সহায়ক গ্রন্থের তালিকা পাঠককে আরও পড়াশুনা করতে ও নতুন কোন তথ্য সংগ্রহে অণুপ্রেরণা যোগাবে।