রাজধানীর বিমানবন্দর ও খিলগাঁও এলাকা থেকে জেএমবির ৪ সক্রিয় পাকিস্তানি সদস্যকে আটক করেছে ডিবি। জব্দ করেছে একটি গুপ্ত চরের কাজে ব্যবহৃত একটি স্পাই মোবাইল ফোনসহ জেএমবির প্রচারপত্র। একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বাংলাদেশে নিযুক্ত একটি দেশের এক নারী কুটনীতিকের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছে তারা।
ডিবির জালে ধরা পড়া বাংলাদেশী বংশদ্ভুত পাকিস্তানী নাগরিক ইদ্রিস আলী ২০০২ সালে পাক মুসলিম অ্যালায়েন্স নামের রাজনৈতিক দলের ব্যানারে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। র্যাবের জালে ধরা পরে জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি । জড়িয়ে পরেন জেএমবির কার্যক্রমে। বাংলাদেশে এসে অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের চেষ্টায় ছিলেন ওই পাকিস্তানি নাগরিক। গত এক বছরে তিনি অন্তত ৪৮ বার পাকিস্তান যাতায়াত করেছেন।
ডিবির জয়েন্ট কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, তার কাছ থেকে একটি স্পাই মোবাইল পাওয়া গেছে। যেটি দিয়ে সে বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতো। মোবাইলে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ছবিও পাওয়া গেছে। এই মোবাইল দিয়ে এখান থেকে সে সরাসরি ওখানে পাঠিয়ে দিতো।
ভারত হয়ে নকল পাসপোর্ট নিয়ে করাচি যাওয়া আরেক পাকিস্তানী মকবুল শরিফ জিজ্ঞাসায় জানিয়েছে,সরকারের পতন ঘটাতে ঢাকার আশপাশে নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। দেশের আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক কাঠামো ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্রও করছিলো তারা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আটক মকবুল শরীফ করাচিতে বসবাস করা আব্দুল কুদ্দুস বর্মী নামের একজনের সাথে যোগযোগ করতো। বর্মী মিয়ানমারের নাগরিক। ওখানে সে রোহিঙ্গা ভিত্তিক জঙ্গিদের সংগঠিত করে। তার সাথেই যোগাযোগ মকবুলের।
গ্রেফতার অন্য দুই জেএমবি নেতার একজন পাকিস্তানী কাপড় ব্যবসার আড়ালে অন্যজন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়্রালাইন্সের ট্রাফিক কর্মকর্তার কাজের আড়ালে চালিয়ে আসছিলো নিষিদ্ধ জেএমবির কার্যক্রম। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।