কক্সবাজার থেকে: মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের উদ্বোধনী দিনে ১ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের বেক্সিমকো ঢাকা মাস্টার্স। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে তারা। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে খালেদ মাসুদ পাইলটের এয়ার এশিয়া রাজশাহী মাস্টার্সের কাছে ৪ রানে হেরে গেছে ঢাকা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলার আশা জাগিয়েছে রাজশাহী।
১০০ বলের ম্যাচে রাজশাহীর দেয়া ১১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১০ রানে থামে ঢাকা।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সাবেক দুই টেস্ট অধিনায়ক পাইলট-সুজনদের ম্যাচে ঘিরে খেলোয়াড়দের মাঝে ছিল দারুণ উত্তাপ। আসল ঘরানার ক্রিকেট না হলেও মাঠে নামলে ম্যাচের উত্তাপ ঠিকই টের পান তারা। সাগড়পাড়ে সাবেকদের মিলনমেলার সঙ্গে ২২ গজের উত্তাপ মেলা অনেক বড় পাওয়া সুজনের কাছে।
‘এখানে আসলে খুব ভাল লাগে। একসময় যাদের সঙ্গে জাতীয় দল, লিগে খেলেছি সেসব সতীর্থদের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়। খেলাটাও বেশ প্রতিদ্বন্দিাতপূর্ণ হয়। গতকাল যেমন আমরা ১ রানে জিতলাম। টাফ গেম হয়। প্রতিবছরই হচ্ছে। ব্যাপারটা আমাদের জন্য খুব ভাল। ’
মাস্টার্স ক্রিকেট আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সুজন। আয়োজক কমিটির এই আহবায়ক বলেন, ‘আগামীবার আন্তর্জাতিক আসর করার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। উপমহাদেশের চার ক্রিকেট পরাশক্তি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার নিয়ে আয়োজনের কথা হচ্ছে। আগামীবারই সেটি হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গড়ায় ম্যাচটি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তোলে ঢাকা। ওয়াসেল উদ্দিন আহমেদ ও খালেদ মাসুদ সমান ২৮ রান করেন। আনিসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। ১০ বলে দর্শনীয় দুই ছক্কায় ১৯ করেন নিয়ামুর রশীদ রাহুল।
৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন সুজন চৌধুরী। মাস্টার ওভার করা ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ৪.৪ ওভারে ৩৪ রানে নেন দুটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ রানে হেরে যায় ঢাকা। ২০ রান আসে রশিদুল হক সুমনের ব্যাট থেকে। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ও সজল চৌধুরী ১৫ রান করে যোগ করেন।
মুশফিকুর রহমান বাবু নেন তিন উইকেট। এহসানুল হক সেজান নেন দুই উইকেট।