ভারতের উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে তীব্র ধূলিঝড়ে নিহত হয়েছে ৭০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছে শতাধিক।
নিহতদের মধ্যে উত্তর প্রদেশে ৪৫ জন। আগ্রায় ৩৬ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার।
তিনি জানান, সাহারানপুরে ঝড় বেশি তীব্র হলেও সেখানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। সে তুলনায় আগ্রায় ক্ষতি হয়েছে অনেক।
প্রতিবেশী রাজ্য রাজস্থানে বৃষ্টির চেয়ে ধূলিঝড়ের প্রকোপ ছিল বেশি। সেখানে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেখানে ১২ জন নিহত হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ধূলিঝড়ের সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রঝড়ও হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো। ধূলিঝড়ে দৃষ্টিসীমা সেসব জায়গায় ৫০০ মিটারের চেয়েও কমে গিয়েছিল।
ঝড় ও বজ্রপাতে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে, বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। অনেক আধাকাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে ঝড়ে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের বিষয়টি মনিটর করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঢিলেঢালা ভাব সহ্য করা হবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে বুধবারের ঝড়কে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিন জেলাতেই ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই ঝড়ে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ ও আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজধানী দিল্লিতেও বুধবার সন্ধ্যায় ধূলিঝড় ও ভারীবৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক ধূলোর ঝড় কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী ছিল না। তবে এর ফলে দু’টো আন্তর্জাতিকসহ ১৫টি ফ্লাইট দিল্লিতে অবতরণ না করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
ঝড়ে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।