পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্নাকে চাপা দেয়া গাড়ির চালক মো. নাঈমকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ। সেই মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহীমপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, গ্রেপ্তার করা মাইক্রোবাসের চালক মো. নাঈম, সেই দুর্ঘটনার সময় মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাইক্রোবাসটির মালিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে মাইক্রোবাসটি মাসিকভিত্তিতে ভাড়া দিয়েছেন। ঘটনার দিন উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাইট শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন গন্তব্যে নামিয়ে দেয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
তিনি বলেন, কালো মাইক্রোবাসটির সম্ভাব্য যাত্রাপথ ধরে মাইক্রোবাসটির অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করা হয়। প্রাথমিকভাবে মূল সড়ক, অন্যান্য সড়ক, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক স্থাপনার প্রবেশ পথে থাকা ৩৮২টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে ঘটনার কিছু সময় পূর্ব ও পরে মাইক্রোবাসটির যাত্রাপথ শনাক্তে সক্ষম হয় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ।
“এ সকল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে কালো হায়েস মডেলের মাইক্রোবাসটির বেশ কিছু অস্পষ্ট ডিজিটাল নম্বর প্লেটের ছবি পাওয়া যায়। প্রাপ্ত নম্বরগুলো কিছুটা স্পষ্টীকরণপূর্বক প্রাথমিকভাবে ১১২টি মাইক্রোবাসের বিষয়ে কাজ শুরু হয়। ৪টি আলাদা টিম গঠন করে বিআরটিএসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এ সকল মাইক্রোবাসের মালিকানা, রঙ, সিটের সংখ্যা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহের বিষয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করে শেরেবাংলানগর থানা পুলিশ।”
অভিযুক্ত আসামিকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বরে জানান এসপি হারুন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত চলমান এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
গত ৭ আগস্ট সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে মাইক্রোবাসের চাপায় গুরুতর আহত হন সাইকেলআরোহী রত্না। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।