বিপুলা পদ্মাকে নিয়ন্ত্রণে এনে তার উপর দিয়ে মানুষ চলাচলের আগ্রহ আদি কালের। দক্ষিণ বঙ্গের ৫ কোটি মানুষের দীর্ঘকালের স্বপ্ন পদ্মাসেতু। স্বাধীনতার পর থেকেই সে দাবি আস্তে আস্তে জোরালো হতে থাকে। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে যমুনা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার পর সে দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়। পরবর্তী জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করার জন্য কোনো কাজ না করলে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে আওয়ামীলীগ পদ্মাসেতু নির্মাণ যুক্ত করে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের বিপুল পরিমাণ ভোট নিজেদের বাক্সে যুক্ত করে।
২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম শুরু হয়। ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংক, ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে সেতু নির্মাণের খরচাবলী জোগাড় করে। বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীরর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিযুক্ত করার জন্য যুক্তরাজ্যের এইচপিআর, কানাডার এসএনসি-লাভালিন, নিউজিল্যান্ডের এইকম, যুক্তরাজ্যের হ্যালক্রো এবং জাপানের ওরিয়েন্টালকে নিয়ে একটি ছোট্ট তালিকা তৈরী করে তা বিশ্ব ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
এই পরামর্শক নিযুক্ত করা নিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঝামেলা। পরামর্শকদের ছোট্ট তালিকা বিশ্ব ব্যাংকের কাছে পাঠানো হলে বিশ্ব ব্যাংক তা অনুমোদন না করে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপন করে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের সূত্র ধরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের রাজনৈতিক ভাবধারা অনুসরণকারী তথাকথিত সুশীল সমাজ দেশে দুর্নীতি অভিযোগকে এমনভাবে প্রচার করে যে তা থেকে মনে হয়েছিল অধ্যাপক জামিলুর রেজা, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি উপদেষ্টা মশিউর রহমান, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনসহ পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলেই শত শত কোটি টাকা নিজেদের পকেটে নিয়ে নিয়েছে।
অথচ তখন পর্যন্ত কোনো টাকা ছাড় করেনি ঋণদাতাগণ। ঋণের টাকা ছাড় করার আগে কি করে সে টাকা নিয়ে দুর্নীতি করা হল সরকারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত এমন যুক্তি তখন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক শক্তি জামায়াত-বিএনপি, তাদের তাবেদার সুশীল সমাজ এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের তল্পি বাহকদের কথার তোড়ে টিকতে পারেনি
সরকার দুর্নীতি বিষয়ে নিঃসন্দেহ থাকলেও দেশের অভ্যন্তরে জামায়াত-বিএনপি জোট, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সুশীল সমাজ এবং সাধারণের অলক্ষ্যে ওয়াশিংটন সরকারের উপর এমন চাপ সৃষ্টি করতে থাকে যে ২০১২ সালের শুরুতেই যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন এবং সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে যার যার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় দুর্নীতি তদন্ত কাজে সুবিধার জন্য তাদের স্ব স্ব পদ থেকে সরানো হল।
সরকার একমত না হলেও বিশ্ব ব্যাংকের চাপে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ভার গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতেও থামে না সমালোচনার ঝড়; সন্তষ্ট হয় না বিশ্বব্যাংক। জুন মাসে তারা ঋণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সরকারকে। সঙ্গী অন্যান্য ঋণদাতাগণও একই পথ অনুসরণ করে। সমালোচনার চাপে জুলাই মাসে আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৩ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার বিশ্ব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে অর্থায়নের অনুরোধ ফিরিয়ে নেয় এবং ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়।
দুদক দুর্নীতি তদন্তের ভার হাতে নিলেও তথ্য-প্রমাণের ওভাবে তাদের কাজ এগোয় না। বার বার বিশ্বব্যাংককে প্রমাণাদি দাখিলের অনুরোধ করা হলে তারা তা দাখিল নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। কয়েকবার বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা দুদকে গিয়ে কথাবার্তা বলে এসেছে কিন্তু এসএনসি-লাভালিনের এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ডায়রির কপি ছাড়া তারা আর কোনো প্রমাণ দাখিল করে না। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুদক ওই দুর্বল প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
আদালতে ৭ জনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ না হলে ১৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত অভিযোগ খারিজ করে দেয়। একই বছর দুদকও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। চলতে থাকে কানাডা আদালতে কানাডার পুলিশ বিভাগের আনিত এসএনসি-লাভালিনের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত আভিযোগ। যাদের দু’জনকে প্রাথমিক পর্বেই অব্যাহতি দেয় কানাডার আদালত।
দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৩ জনকেও অব্যাহতি দেয়া হয় এ বছরের জানুয়ারী মাসে যা জনসম্মুখে প্রকাশ হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি। বিচারক নর্ডহেইমার তার রায়ে বলেছেন, “যে সকল তথ্যাবলী আদালতে দাখিল করা হয়েছে তা অনুমান, গল্প এবং গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।”
অধ্যাপক জামিলুর রেজার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিযুক্ত করার জন্য যে তালিকা তৈরী করে এসএনসি-লাভালিন তাতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল, এক নম্বরে নয়। এসএনসি-লাভালিন এক নম্বরে ছিল না। অর্থাৎ তাদের কাজ পাওয়ার সুযোগ কম ছিল। দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের পর যেটুকু সুযোগ ছিল সেটুকুও দূর হয়ে গিয়েছিল। তবুও এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে কানাডায় যে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে তার দোহাই দিয়ে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন কেন বাতিল হবে?
এসএনসি-লাভালিনকে শর্ট লিষ্টেড করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর কমিটি; মন্ত্রী, উপদেষ্টা বা আমলারা নন। তথাপি অধ্যাপক রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ না উঠে অভিযোগ ওঠে মন্ত্রী, আমলা এবং উপদেষ্টার বিরুদ্ধে। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের মন্ত্রী, আমলা, বা উপদেষ্টারা যদি জড়িত হয়ে থাকেন তবে তাদের সরিয়ে দেয়ার পরেও কেন ঋণের অর্থ ছাড় হবে না? এসব প্রশ্নের উত্তর গত ছয় বছরে কোথাও পাইনি।
এসব প্রশ্নের উত্তর বোধ হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে না দেয়া এবং শেখ হাসিনাকে বিরাট দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করে তার সরকারকে বিপর্যস্ত করা যাতে পরবর্তী নির্বাচনে তার দল কোনোভাবে সরকার গঠন করতে না পারে। শেখ হাসিনা সরকার গঠন করতে না পারলে বেঁচে যাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ; হারানো মসনদ ফিরে পাবে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ব্যাক্তিগত বন্ধু ডঃ মুহম্মদ ইউনুস; এবং ক্ষমতায় বসবে জামায়াতের দোসর বিএনপি।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তৃতায় পদ্মাসেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র ইস্যুতে শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। সম্প্রতি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক লেখায় বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে তিনি এক আলোচনায় দাবি করেন, বিশ্বব্যাংক যে তিনজনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছে তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন। যুদ্ধাপরাধী চক্র একই উদ্দেশ্যে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল বলে অনেকেই মনে করে। অন্যদিকে, যে সকল লোকেরা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছিল আবুল হোসেনকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল সে সকল লোকদের এখন দেখি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে। বস্তুত এরা একই গোষ্ঠীভুক্ত যাদের নিজস্ব রাজনৈতিক চেতনা নেই এবং স্বাধীনতার আগে থেকেই কারণে, অকারণে এরা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করে।
বিশ্বব্যাংক উত্থাপিত ভুয়া অভিযোগে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি আর সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ। সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়াসহ কয়েকজন আমলা জেল খেটেছেন, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পারিবারিক পর্যায়ে অসম্মানিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার দল আওয়ামীলীগসহ সকল অভিযুক্ত।
এসব ব্যক্তিগত ক্ষতি আর কোনদিন পূরণ হবার নয়। আন্তর্জাতিক ইমেজ এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ বঙ্গের ৫ কোটি মানুষ এখনো কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে চরম দুর্ভোগ সয়ে পার হয় পদ্মা নদী। দুর্নীতি অভিযোগ না উঠলে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হত ২০১৫ সালে। বর্তমানে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ চলছে যা শেষ হবে ২০১৯ সালে। দেরিতে কাজ শুরু করার ফলে একদিকে বেড়েছে নির্মাণ খরচ অন্যদিকে পিছিয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে জিডিপি’র সঙ্গে আরও ১.২% যোগ হবে; বর্তমান জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হত ৮ শতাংশের উপরে। বিশ্বব্যাংকের কারণে এই চারবছর দেরি হওয়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৩০ বিলিয়ন ডলার (২০১৬ সালে পিপিপি মেথডে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৬২৮ বিলিয়ন ডলার।
তথ্যসুত্রঃ ডেইলি স্টারে প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স)। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে বিলম্বের কারণে পদ্মাসেতুর বাড়তি খরচ।
ভুয়া দুর্নীতির ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংক এবং তার অনুসারী টিআইবি, সুশীল সমাজ এবং জামায়াত ও বিএনপি কয়েকজন ব্যক্তির এবং সমগ্র বাংলাদেশের যে বিশাল ক্ষতি করেছে তার প্রতিকার কি?
প্রথম প্রতিকার অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া। যারা এই মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এবং যারা নির্বিচারে সে অভিযোগের পালে হাওয়া দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের উচিত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের এবং সমগ্র জাতির কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়া। বিশ্বব্যাংককে শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না, তাদের যেসকল কর্মকর্তা এই ভুয়া অভিযোগ উত্থাপন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি অর্থ দিয়ে পূরণ করতে হবে।
জাতীয় সংসদেও আইন প্রণেতারা একই রকম দাবি তুলেছেন। বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায় না এমন অভিমত দিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন কয়েকজন।
দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান, গোলাম রহমান বলেছেন, “আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মামলা করতে পারবে না বাংলাদেশ। তবে জাতীয় সংসদের অনুমতি নিয়ে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে মানহানির মামলা করার সুযোগ আছে।” প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে সরকার কেন মিথ্যা গল্প ফেঁদে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনবে না তা জানতে চেয়েছে। হাইকোর্টের এই উদ্যোগ ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে সরকারকে অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে।
এত বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে দেশ থেকে দূর হবে না বিচারহীনতার সংস্কৃতি। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বর্তমান সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে কাজ করা ব্যক্তিদের আইনের কাছে সোপর্দ না করা যায়।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)