সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পদ্মাপুরান’ ছবির পরিচালক রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগটি দিয়েছেন সৈয়দ নাজমুস সাবিক নামের একজন। যিনি পেশায় শিক্ষক ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত।
শনিবার দুপুরে পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের কাছে অভিযোগপত্রটি জমা দেন নাজমুস সাবিক।
তার অভিযোগটি গ্রহণ করেছে পরিচালক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুই তিনদিনের মধ্যেই দু’পক্ষকে ডেকে তথ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে মীমাংসার চেষ্টা করবো।
১৯ অক্টোবর নিজের ফেসবুকে পরিচালক রাশিদ পলাশ এক স্ট্যাট্যাসের মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘‘টাকা দিতে পারেননি বলে সদ্য মুক্তি পাওয়া তার প্রথম সিনেমা ‘পদ্মাপুরান’ এর রিভিউ কেউ লিখেননি।’’
এই নির্মাতা অভিযোগ আনেন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে। তার নাম উল্লেখ করে পরিচালক লেখেন, ‘সিনেমা প্রেমিক সৈয়দ নাজমুস সাকিব আপনাদের বাংলা সিনেমার প্রতি এই দরদটা মনে থাকবে ভাই। কী মনে হয়, আপনারা না লিখলে সিনেমা চলবে না? কিংবা টাকা না দিলে পোলাপান দিয়ে নেগেটিভ রিভিউ করাবেন? দিন বদলে গেছে ভাই। আটকাতে পারবেন না। ‘পদ্মাপুরান’ ঢাকার বাইরে যাচ্ছে, বাংলা সিনেমায় সুদিন ফিরছে, ইন্ডিয়ান সিনেমা বাজী হল থেকে নেমে যাচ্ছে, উঠছে পদ্মাপুরান।’’
পরিচালক রাশিদ পলাশের এমন স্ট্যাট্যাসের পর সৈয়দ নাজমুস সাকিব জানান, তিনি টাকার বিনিময়ে রিভিউ করেন না। রাশিদ পলাশের অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যে। তার নাম উল্লেখ করে স্ট্যাট্যাস দেয়ার সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্মানহানি হয়েছে বলেও পাল্টা অভিযোগ করেন সাকিব।
সে কারণে রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান নাজমুস সাকিব। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, টাকা চাওয়ার যে অভিযোগটি করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার চারদিন পার হওয়ার পরেও রাশিদ পলাশ তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।
নাজমুস সাকিব বলেন, শনিবার দুপুরে আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ করেছি। পরিচালক সমিতির প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আশা করি তারা সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। যদি পরিচালক আমার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার না করেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করেন, তাহলে এরপরে যা আইনি পদক্ষেপ আছে তা নিতে বাধ্য হব।
নাজমুস সাকিব মনে করেন, তার যতটুকুই পরিচিতি বা অবস্থান, অনেক কষ্টে অর্জন করা। সেই জায়গা নিয়ে প্রমাণ ছাড়া যাচ্ছেতাই মন্তব্য করে কেউ পার পেয়ে যাবেন তা তিনি হতে দেবেন না। তার কথা, এই অভিযোগের ফলে আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছি, যদি প্রমাণিত না হয় আমি টাকা চেয়েছি তাহলে যেভাবে পাবলিক পোস্ট দিয়ে রাশিদ পলাশ আমাকে হেয় করেছেন একইভাবে তিনি পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। অন্যথায় প্রচলিত আইনে যা আছে তাই করবো।
পরিচালক সমিতিতে দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে রাশিদ পলাশ বলেন, যে অভিযোগ আমি তুলেছি সেটির সত্যতা আছে। পরিচালক সমিতি আমাকে ডাকলে আমি আমার ব্যাখ্যা দেব। এর আগে এসব নিয়ে আমার কোনো হেডেক (মাথাব্যথা) নেই।