প্রধান বিচারপতিকে ‘জোরপূর্বক’ ছুটিতে পাঠিয়ে এখন তাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে সরকার ‘বানোয়াট অভিযোগ’ তুলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন: প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর হঠাৎ করে তার বিরুদ্ধে দুনীতি, অর্থপাচার, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন সুপ্রীম কোর্টের ইতিহাসে নজীরবিহীন ঘটনা।
রিজভীর দাবি: ‘সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি দেখে বুঝা যায়, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি বৈঠক করেছেন। সংবিধানে এটা নেই। তার মানে রাষ্ট্রপতিও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। রাষ্ট্রপতি যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ পেয়েই থাকেন, তাহলে তিনি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করলেন না কেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন: রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেলসহ সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে বলেছিলেন, সুপ্রীম কোর্টের প্রশাসনের রদবদল শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। তাহলে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনও বেআইনী।
‘এর মাধ্যমে স্পষ্ট, এখন আদালতে যা ঘটছে তা হচ্ছে সরকার প্রধানের একক কর্তৃত্বে বিচার বিভাগকে অধীন করার যাবতীয় আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী পথের সকল কাঁটা সরাতেই এসব করছেন। ডাকাত মুকিম গাজীর স্টাইলে সরকার সুপ্রিম কোর্টে এসব কাজ করছে।’
রিজভী বলেন: এই জমিদারি উচ্ছেদের জন্য জনগণ এখন সংঘবদ্ধ। জনগণের ধুমায়িত বহ্নির উত্তাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণই হচ্ছে মহাজন, তারাই কড়ায় গন্ডায় সকল ঋণ আদায় করে ছাড়বে।