পঞ্চগড় জেলার তালমা নদী দখল-ভরাট ও নির্মাণকাজ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
‘পঞ্চগড়ে প্রকাশ্যে নদী দখল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত পঞ্চগড় জেলা সদরের উপকণ্ঠে তালমা নদী দখল/ভরাট ও নির্মাণকাজ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেন। আর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া আগামি ৬ মাসের মধ্যে সি.এস ও আর.এস নকশা অনুসারে নদী দখলদারদের সুনির্দিষ্ট তালিকা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাইকোর্ট তার রুলে তালমা নদী রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এবং সি.এস ও আর.এস অনুযায়ী নদী রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(ভূমি), পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।