পাকিস্তানের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। অথচ গেইল, নারাইন, স্যামিদের মতো ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা কোথায়? তারা সবাই আইপিএল খেলা নিয়ে ব্যস্ত। জাতীয় দলের জার্সি থেকে আইপিএলের জার্সিকে তারা বেশি মূল্য দেন এমন অভিযোগ অনেক দিন থেকেই। কিন্তু ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস দোষ দেখেন না গেইল-স্যামিদের কারও। তার মতে অদক্ষ-অহংকারী আর নোংরা প্রশাসকদের কারণেই ক্যারিবীয় ক্রিকেটের জৌলুস আজ ধ্বংসের মুখে।
আইপিএলের দল দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের মেন্টর হয়ে এখন ভারতে আছেন ভিভ রিচার্ডস। সেখানেই ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েস্টইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ধুয়ে দিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান গ্রেট, ‘যখন কেউ এই ধরনের একটা অহংকারী প্রশাসন কোথাও পায় তখনই সে বিকল্প খোঁজা শুরু করে। আমাদের মাথায় রাখা উচিত সব খেলোয়াড়ই সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মায় না। বলতে দ্বিধা নেই, কিছু প্রশাসক আছেন যারা মাঠের ক্রিকেটারদের থেকেও নিজেদের কেউকেটা মনে করেন। কিন্তু তারা মোটেও তা নন। ক্রিকেটাররা তাদের জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দেন আর তারা ছড়ি ঘোরান। আমাদের মত খেলোয়াড়রাই তাদের এই জায়গায় বসিয়েছে আর তারা করছেন সব নোংরা কাজ।’
ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা পেতে হলে অবশ্যই ঘরোয়া ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলতে হবে। আর যারা খেলবেন না তাদের সুযোগ হবে না দলে। কিন্তু এই ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচির সঙ্গে আবার অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাসের সূচি সাংঘর্ষিক। তাই জাতীয় দলকে পায়ে ঠেলে এই ধরনের টুর্নামেন্টকেই বেছে নেন ক্রিকেটাররা। এখানেও প্রশাসনেরই দায়টা বেশি চোখে পড়ছে ভিভের, ‘অনেক ক্রিকেটাররাই ঘরোয়া লিগ খেলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু যখনই তারা এই ধরনের লোকদের পাল্লায় পড়ে তখনই তারা সজাগ হয়ে যায়।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় তলানিতে অবস্থান করছে ক্যারিবীয়রা। র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলতে পারবে না ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্সরা। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে হলে র্যাঙ্কিংয়ের সাতে থাকতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নয়তো খেলতে হবে বাছাইপর্ব। বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলো নিজেদের প্রস্তুত করছে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে। আর গেইল, স্যামিদের হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুর্বল হচ্ছে দিনকে দিন।
ভিভ রিচার্ডস মনে করেন পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব যদি বোর্ড প্রশাসকরা নিজেদের পরিবর্তন করতে সক্ষম হোন আর সঠিক জায়গায় সঠিক ব্যক্তিই প্রশাসনে বসেন।