চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গেইল-ব্রাভো-স্যামির প্রশ্নবিদ্ধ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড

আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ইন্ডিজ দলে কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারিনের ডাক পাওয়া অথচ নির্বাচনী মানদণ্ডে নিজেদের বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামি এবং ডোয়াইন ব্রাভো। বিস্ময় নিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তারা।

নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী ওয়ানডে দলে জায়গা পেতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে খেলতে হবে। অথচ যাদের দলে নেয়া হচ্ছে তাদের কেউ তা খেলেননি। তখন গেইল-স্যামি-ব্রাভো অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে খেলেছেন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

পোলার্ড ইনজুরিতে ছিলেন। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন নারিন। ২০১৪ থেকেই ওয়ানডে দলে নেই পোলার্ড। এই দুইজনকে দলে নেওয়ার পর সিরিজ টুইট করেছেন গেইল-ব্রাভো-স্যামিরা। এসব পোস্টে নির্বাচকদের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

ব্রাভো এটাকে ‘ম্যাজিক’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন।বিদ্রূপ করে লেখা ব্রাভোর টুইট, “দিনের সেরা কৌতুক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচকরা। এই বলে পোলার্ড ও নারিন ভালো না। এখন তারা ট্রাই নেশন সিরিজের জন্য পারফেক্ট? এটা ম্যাজিকের মতো! এই বলে আমাদের ঘরোয়া সুপার ফিফটিতে খেলতে হবে। পরের মুহূর্তেই তা লাগে না। ম্যাজিক! এইযে, তোমরা একটু সিরিয়াস হও!”

গেইল টুইটারে লিখেছেন, “কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারিন ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজ? বোর্ড সুনীলকে সুপার ফিফটিতে খেলতে দেয়নি। এখন তাকে নিল। পোলার্ড ফিট থাকলে তো আমাদের মতো বিগ ব্যাশেই খেলতো!”

পোলার্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে স্যামি লিখেছেন, “কাইরন পোলার্ড। ওয়ানডে দলে তোমাকে দেখে দারুণ লাগছে। কিন্তু বলো তো সুপার ফিফটি বা ২০১৪ থেকে ওয়ানডে না খেলে কিভাবে ওয়ানডে দলে ফিরে এলে?”

সবার টুইটেই যখন পোলার্ডের নাম, তখন ডানহাতি এই অলরাউন্ডারও আর চুপ থাকেননি। নিজের টুইটে এতদিন বাদ থাকার কারণ জানেন না বলে জানালেন, ”দিনের পর দিন গেছে। আমি বঞ্চিতই ছিলাম। এখন কি আমার সৌভাগ্যের দিন এসেছে? সত্যটা চিন্তা কর। বাদ পড়ার আসল কারণটা কি তবে জানা গেল? ১৫টা মাস বাইরে ছিলাম।”

গেইল-ব্রাভো-স্যামিদের মতো ক্যারিবীয় ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি আন্দ্রে রাসেলেরও। এ চারজনই অবশ্য বছরের শুরুর দিকে করা বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে আছেন। তবে তাদের সবাই-ই টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য।